দিনাজপুরের পার্বতীপুরে নিজ হাতে গলাটিপে স্বামী শাহাজাদ হোসেন (৩৭) কে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী শরিফা বেগমকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) রাতে পার্বতীপুর শহরের চান্দোয়াপাড়া মহল্লায় চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।

এতে জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সকালে নিহতের বাড়ি থেকে তার স্ত্রী শরিফা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩ অক্টোবর পার্বতীপুর শহরের চান্দোয়াপাড়া মহল্লার মৃত জহির উদ্দীনের ছেলে শাহাজাদ হোসেনের সাথে একই উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ভোটগাছ গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে শরিফা বেগমের বিয়ে হয়। এটি শাহাজাদ হোসেনের তৃতীয় বিয়ে ও শরিফার চতুর্থ বিয়ে। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে কোন বনিবনা ছিল না। প্রতিদিনই উভয়ের মাঝে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। চাকরি সুবাদে মাত্র দু’মাস আগে শাহাজাদ হোসেন টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় একটি অটোরাইস মিলে হেলপার পদে চাকুরীতে যোগ দেয়।

গত বুধবার (১৪ এপ্রিল) ভোরে শাহাজাদ কর্মস্থল থেকে নিজ বাড়িতে আসে।

পুলিশ জানায়, ঐদিন বিকেলে স্ত্রী শরিফা বেগম সুজির হালুয়ার সাথে ঘুমের বড়ি মিশিয়ে তাকে খেতে দেয়। এতে কিছুক্ষনের মধ্যে সে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আনিছুর রহমান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী শরিফা বেগম দু’হাতে গলাটিপে তাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন।

হত্যাকান্ডের পিছনে স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কই মূল কারণ বলে তিনি জানান।

পার্বতীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, স্বামীকে খুনের অভিযোগে স্ত্রী শরিফা বেগমকে বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা সে স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে লাশ ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।