দিনাজপুরে আপেল চাষে ইমরুল আহসানের বাজিমাত

আপেল চাষে সফলতা পেয়েছেন বৃক্ষ গবেষক কৃষিবিদ ইমরুল আহসান। থোকায় থোকায় গাছে ঝুলছে ভিনদেশী আপেল। ভিনদেশী ফল হলেও খেতে সুস্বাদ এবং পুষ্টিকর হওয়ায় যুগ যুগ ধরে এদেশের মানুষের কাছে পরিচিত এবং প্রিয় একটি ফল আপেল। প্রতিদিন দর্শনার্থী ভীর জমাচ্ছেন তার এই আপেল বাগানে।

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা, ইমরুল আহসান তিনি দিনাজপুর হটিকালচার সেন্টারে, সহকারী উদ্যান উন্নায়ন কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত। তার ব্যক্তিগত গবেষণা প্রতিষ্ঠান তাসনিয়া এগ্রো রিসার্স এন্ড ডেভলপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক।

আপেল চাষে তার প্রতিষ্ঠানে এই অ লের জন্য উপযোগী ৩টি জাত উৎপাদন করে সফল হয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে সামার রাম্বু, হরিমন ৯৯, আন্না, কাশমেরি এই জাত গুলীতে ব্যাপকভাবে ফলন হয়েছে। ২০২১ সালের জুন মাসে আপেলের চারা গুলো রোপন করেন, তার মধ্যে রয়েছে সামার রাম্বু, হরিমন ৯৯, আন্না, কাশমেরি।

এই জাত গুলীতে ব্যাপকভাবে ফলন হয়েছে। বর্তমানে গাছ গুলোর বয়স আনুমানিক ৩ বছর। গতবছরে ২টি গাছে ৫০ টির মতো ফল আসে কিন্তু এ বছর ইমরুল আহসানের বাগানে ২৫ টি গাছের মধ্যে ১০টি গাছে আনুমানিক ১৫০০ এর অধিক ফল ধরেছে এবং প্রতিটি গাছের উচ্চতা ৮ থেকে ১০ফুটের মতো।

এ বিষয়ে তিনি জানান, দেশের অনুকূল আবহাওয়ায় আপেল চাষের জন্য তিনটী জাত বেশ কিছু হরমোনাল ট্রিটমেন্ট লাগে যেটা অনেকেই জানেন না, যার কারনে প্রচুর ফুল আসে কিন্তু ফল ধরেনা তাই আপেল ফল টিকানোর জন্য প্লান মাফিক সঠিক পুষ্টি উপাদান ও বেশ কিছু হরমোনাল ট্রিটমেন্ট লাগে যার সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করতে পারলে এই অ লে আপেল উৎপাদন সম্ভব।

প্রতিদিন অনেক মানুষ তার বাগানে ভীড় করেন, অনেকে আবার তার কাছ থেকে পরামর্শও নিতে আসছেন।
বিদেশী এই ফল দেশের মাটিতে তার সফলতা দেখে বেশ আশ্চর্য স্থানীয়সহ দর্শনার্থীরা।

আপেল বাগান দেখতে আসা দর্শনার্থী সাদেকুল ইসলাম জানান, আপেল আমাদের দেশে চাষ করা সম্ভব তা আমার আগে জানা ছিল না, তাই সপরিবারে স্বচক্ষে দেখতে আসলাম সত্যিই আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। আমিও তার কাছে কয়েকটি জাতের আপেল চারা ক্রয় করে তার পরামর্শ নিয়ে আপেল চাষ করবো।