দিনাজপুরে পেঁয়াজের বাজারে স্বস্তি, দাম কমায় খুশি সাধারণ মানুষ

দীর্ঘদিনের অস্থিরতার পর দেশের পেঁয়াজের বাজারে ফিরেছে কাক্সিক্ষত স্থিতিশীলতা। নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি এবং সরকারের কার্যকরী পদক্ষেপের ফলে বাজারে পেঁয়াজের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে নি¤œ ও মধ্যবিত্ত শ্রেনির মানুষের মাঝে।

রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত নতুন পেঁয়াজের সরবরাহে বাজারে প্রানচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে পাইকারি ও খুচরা উভয় ক্ষেত্রেই দাম কমে এসেছে।

বীরগঞ্জ পৌর আরতের ব্যবসায়ী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, “নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় সরবরাহ বেড়েছে। আজ পাইকারি বাজারে দেশি নতুন পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পৌর বাজারের খুচরা বিক্রেতা মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, দেশি নতুন পেঁয়াজ এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগের তুলনায় দাম অনেকটাই সহনীয় হয়েছে তাই ক্রেতারাও সন্তুষ্ট।

পেঁয়াজ কিনতে আসা স্বপন দাস নামে এক ক্রেতা উচ্ছ¡াস প্রকাশ করে বলেন, আগে পেঁয়াজের চড়া দামের কারণে সংসার খরচ চালানো কঠিন হয়ে পড়েছিল। এখন দাম কমায় ব্যয়ও অনেকটা কমেছে। এই দাম যদি স্থায়ী থাকে, আমাদের জন্য এটি বড় স্বস্তি।

বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, এ বছর উপজেলায় পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪৯ হেক্টর জমি। এর মধ্যে ৪০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে এবং ১৭ হেক্টর জমির পেঁয়াজ ইতিমধ্যে কর্তন হয়েছে। ফলন সন্তোষজনক হওয়ায় হওয়ায় কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন। স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত পেঁয়াজ সরাসরি বাজারে সরবরাহ করায় বাজারে স্থিতিশীলতা এসেছে। এতে কৃষক এবং ক্রেতা উভয়ই উপকৃত হচ্ছে।

পেঁয়াজের দাম কমায় ক্রেতাদের মধ্যে যেমন স্বস্তি এসেছে, তেমনি এটি দেশের অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

oppo_0