দিনাজপুরে বাবার কারনে দুই মেয়ের পড়া লেখা বন্ধের উপক্রম

একজন ষষ্ঠ শ্রেণী অপরজন নবম শ্রেনী তবে স্কুল যাওয়া হলেও শরীরের পুষ্টি এবং পড়াশোনার আসবা পত্র কিনতে অর্থের অভাবে পর্যায়ক্রমে থেমে যাচ্ছে জীবন ,কারণ একটাই বাবা দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ বিভিন্ন চিকিৎসকের পরামর্শে অস্ত্রপাচার চালালেও সুস্থ হতে পারেনি বাবা বিক্রি করেছেন নিজের বাড়ি ভিটা থাকছেন ভাড়া বাড়িতে দিন কাটছে পরিবারটির অনাহারে অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে অর্থের অভাবে দুই মেয়ের পড়া লেখা বন্ধের উপক্রম।
যানা যায়, শহরের সুইহারী খালপাড়ার বাসিন্দা পেশায় একজন মুদি দোকানদার নুর আলম ২০১৭ সালে রোগে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এরপর প্রথমে দিনাজপুর ও পরে রংপুরে চিকিৎসা করান। এরপরে সুস্থ্য হয়ে উঠতে না পেরে দোকানের পুজি শেষে বাড়ী করার জন্য কেনা ৫শতাংশ জমি বিক্রি করে বারতে চিকিৎসা করার। তার পরেও তিনি সুস্থ হয়ে না উঠায় আবারও রংপুরে পপুলার হাসাপাতালে চিকিৎসা করান।
সেখানকার চিকিৎসক জানান তার ফেটিলিভার অপারেশন করতে হবে। এতে খরচ হবে ২ লাখ টাকা। এই টাকা তিনি জোগাড়ও করতে পারছেননা, অপারেশনও হচ্ছেনা। দিন দিন তার স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে।
স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার সনি জানান, স্বামী অসুস্থ্য হওয়ার কারণে যা জমানো টাকা চিল এবং দোকানের পুশি শেষ হয়ে যায়। পরে বাড়ী করার জন্য কেনা জমি এবং বিয়েতে বাবা মায়ের দেয়া গহনা গুলোও বিক্রি করে দিয়ে স্বামীর চিকিৎসা করিয়েছি। কিন্তু স্বামীকে সুস্থ্য করতে পারিনি। সর্বমেষ চিকিৎসক বলেছেন দ্রুত অপারেশন করতে হবে, ২ লাখ টাকা লাগবে।
এদিকে আমার দুই মেয়ের পড়া লেখা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে আমি হৃদয় বান ও বিক্তবানদের সহযোগীতা কামনা করছি। সহযোগীতা করার জন্য ১০৭২০৫২৬৮৪৩ বিকাশ নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করছি।
চিকিৎসার জন্য সরকার সহ বৃত্ত ভান্ডার এগিয়ে আসবে এমন প্রত্যাশায় দিন গুণছেন মুদি দোকানদার নুর আলম এর পরিবার।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন