দিন দুপুরেই ওরা আসে, উড়ে উড়ে, ঘুরে ঘুরে…

তাদের মুখচোখ তেমন ভাল বোঝা যায় না। কালো ছেঁড়া আলখাল্লায় ঢাকা তাদের শরীর। আকাশে নিরালম্বভাবে ভেসে থাকে তারা, কখনও কখনও উড়ে আসে। তাদের পোশাকি নাম ‘ডিমেন্টর’। এতদিন জে কে রাওলিংয়ের ‘হ্যারি পটার’ সিরিজেই আবদ্ধ ছিল এই ভয়ঙ্কর ‘অ-প্রাণ’। হ্যাঁ, রাওলিং তাঁর লেখায় ডিমেন্টরদের ‘নন বিয়িং’ হিসেবেই বর্ণনা করেছেন। তারা যেন নরকের প্রহরী। তারা কাছাকাছি এলেই মানুষের মন থেকে উধাও হয়ে যেতে থাকে সুখ। তাদের ‘চুম্বন’-এ যে কোনও মানুষ হারিয়ে ফেলতে পারেন তাঁর সত্তাকে।

এহেন ডিমেন্টারকে পশ্চিমি ফ্যান্টাস্টিক প্রাণীজগতে এক বিশিষ্ট সংযোজন বলা যেতে পারে। কিন্তু কল্পনার জীব কি বাস্তবে দেখা দিতে পারে? সেটাই সম্ভবত ভাবছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের বাসিন্দা মাইকেল আরভিন। ৫০ বছর বয়সি মাইকেলের কন্যারা হ্যারি পটারের হাড্ডাকাড্ডা ফ্যান। তাদের মন রাখতেই এবারের হ্যালোউইনে বানিয়ে ফেলেছেন এক উড়ন্ত ডিমেন্টর। এই কিম্ভুতকে বানাতে তাঁর লেগেছে একটি পুরনো হ্যালোউইন-ভূতপোশাক, একটা ভূতমুখোশ আর একটা ড্রোন। রীতিমতো দক্ষতায় তিনি সেই ডিমন্টরকে উড়িয়েও দিয়েছেন।

খেলা দেখে মেয়েরা তো খুশিই, আহ্লাদে আটখানা মাইকেলের ভাইপো জাক ক্রুগার। টুইটারে জাক তার কাকার তৈরি ডিমেন্টরের ছবি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। লাইক আর রিটুইটের বন্যায় ভেসে যাচ্ছে ফেসবুক-টুইটার।