দুই মাস পর পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরতে নেমেছেন জেলেরা
নিষেধাজ্ঞা শেষে পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরছেন জেলেরা । মার্চ-এপ্রিল দুই মাস নিষেধাজ্ঞা শেষে শনিবার (১ মে) থেকে পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরতে নেমেছেন জেলেরা। চাঁদপুর নৌ-সীমানায় নদীতে নিষেধাজ্ঞা শেষ। অলস সময় কাটানোর পর নদীতে মাছ ধরতে নেমেছেন ৫১ হাজার জেলে। জেলে পরিবারগুলোতে এ কারণে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
জাটকা সংরক্ষণের জন্য সরকার দুই মাস চাঁদপুরসহ দেশের আরও কয়েক স্থানে অভয়াশ্রম কেন্দ্র ঘোষণা করে। এ সময় নদীতে যে কোনো ধরনের মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ ছিল। ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ধরতে জেলেরা এখন প্রস্তুত।
সরকার প্রতি বছরের অক্টোবর মাসে মা ইলিশ রক্ষায় ১৫ দিন ও জাটকা রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল নদীতে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে।
নিষেধাজ্ঞা চলাকালে মেঘনা নদীর মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চরআলেকজেন্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় সব প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। যার ৬০ কিলোমিটার পড়েছে চাঁদপুর এলাকায়।
এ কারণে চাঁদপুর সদর, হাইমচর, মতলব দক্ষিণ ও উত্তর উপজেলার ৫১ হাজার জেলে কর্মহীন হয়ে পড়েন। বাধাহীন নদীতে মাছ ধরতে পারবে তাই জেলেদের মনে আনন্দ ফিরে এসেছে। ইতোমধ্যে তারা সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছেন। মাছ ধরতে নেমেছেন ৫১ হাজার জেলে
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার হরিনা, বহরিয়া, লক্ষ্মীপুর কয়েকটি স্থানে ঘুরে দেখা যায়, জেলেরা জাল ও নৌকা মেরামত করে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে নদীতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
জেলেদের ধারণা, ইলিশের উৎপাদন খুব একটা বাড়বে বলে মনে হয় না। সরকার জেলেদের প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে চাল দিলেও এ বছর প্রচুর পরিমাণে জাটকা নিধন করেছেন তারা।
ইলিশ ধরার জন্য নৌকা ও চান্দিজাল নিয়ে প্রস্তুত ওই জেলেপাড়ার মোস্তফা বেপারী। তিনি জানান, চাঁদপুর নৌ-সীমানায় ইলিশ না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে আমরা ভোলা জেলার দৌলত খাঁ এলাকায় বেশিরভাগ সময়ে ইলিশ ধরতে যাই।
যারা নদীতে নেমেছেন, তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল প্রশাসন। যদিও আটকদের অধিকাংশই ছিল অন্য জেলার। আগামী বছর ইলিশ উৎপাদনের ওপর নির্ভর করবে কর্মসূচির সফলতা।
যদিও এ কর্মসূচি সফল করায় ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে বলে দাবি করেন চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী। তিনি জানান, সরকারঘোষিত সব নির্দেশনাই পালন করা হয়েছে। যদিও অসাধু জেলেরা জাটকা নিধন করেছেন।
ইলিশ গবেষক ড. আনিছূর রহমান জানান, ইলিশসহ অন্য মাছ ধরতে জেলেরা এখন প্রস্তুত। এবার পানির গুণাগুণ ও খাদ্যের উপাদান অনেকটাই ভালো রয়েছে। করোনার কারণে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি কিছুটা সীমাবদ্ধতায় ছিল। তবুও উৎপাদন ব্যাহত হবে না।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন