দুই স্ত্রীর ঝগড়ায় বেকায়দায় ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম এবং তৃতীয় স্ত্রীর মধ্যে ‘গৃহযুদ্ধে’ এখন প্রকাশ্যে এসেছে। তাদের যুদ্ধ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে হোয়াইট হাউজের বাইরে এসে পড়েছে।তার প্রথম স্ত্রী ইভানার দাবি তিনিই ফার্স্ট লেডি। এদিকে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে নারাজ ট্রাম্পের বর্তমান স্ত্রী মেলানিয়াও।
সম্প্রতিই প্রকাশ পেয়েছে ট্রাম্পের প্রথম পক্ষের স্ত্রী ইভানার বই রেইজিং ট্রাম্প। সেখানে তিনি লিখেছেন, ডোনাল্ডের তিন সন্তানকে বড় করে তোলার গল্প। এই বই প্রকাশকে কেন্দ্র করে সোমবার গুড মর্নিং আমেরিকায় এক সাক্ষাতকার দেন ইভানা। সেখানেই তিনি নিজেকে ফার্স্ট লেডি বলে দাবি করেন।
নিজের দাবির স্বপক্ষে ইভানার মন্তব্য, আমি ডোনাল্ডের প্রথম পক্ষের স্ত্রী। সেজন্যে সেই জায়গাটার ওপর অধিকার রয়েছে তারই। স্বাভাবিকভাবেই স্বামীর প্রাক্তন স্ত্রীর এমন দাবিতে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে বর্তমান স্ত্রী মেলানিয়াকে।
ইভানা শুধুমাত্র এই মন্তব্য করেই থামেননি, তিনি আরো দাবি করেন, তার মেলানিয়ার জন্যে করুণা হয়। তার দাবি, মেলানিয়ার নিশ্চয়ই ওয়াশিংটনে থাকতে খুবই অসুবিধা হয়।
তবে ইভানার এধরনের আক্রমণের মুখে মোটেই ভেঙে পড়েননি মেলানিয়া। তিনিও পাল্টা কড়া জবাব দিয়েছেন। মেলানিয়া তার স্বামীর প্লেবুক থেকে একটি পাতা বের করে বলেন, ট্রাম্পের স্বভাবেই আছে, যদি কেউ তাকে বা তার পরিবারকে অকারণে অপমান করেন, তাহলে তিনি পাল্টা কড়া জবাব দিতে পছন্দ করেন।
এমনকি ইভানার এই বক্তব্য প্রসঙ্গে মেলানিয়া ট্রাম্পের মুখপাত্র স্টেফানিয়া গ্রিসহ্যাম মন্তব্য করেন, ইভানা আসলে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে নিজের দিকে নজর টানছেন। নিজের বইয়ের বিক্রি বাড়ানোর জন্যে তিনি এধরনের বিতর্কিত মন্তব্য করছেন বলেও দাবি করেন স্টিফানিয়া। সেজন্যেই ইভানা অকারণে বলেছেন মেলানিয়া তার ওয়াশিংটন ডিসির জীবনে মোটেই খুশি নন। কিন্তু সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।
মেলানিয়ার মুখপাত্রের আরো দাবি, একজনের প্রাক্তন স্ত্রীর থেকে এধরনের দাবি নেহাতই হাস্যকর।
যৌনতার জন্যই প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ট্রাম্পের বিয়ে ভাঙে
১৯৭৭ সালে ইভানার সঙ্গে বিয়ে হয় বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ১৯৯২ পর্যন্ত টিকে ছিল সেই বিয়ে। ডনের বিচিত্র যৌনতা নিয়ে কম চর্চা হয়নি। সম্ভবত আরো একটু যৌনতার খোরাক যোগাবে ইভানার লেখা বই ‘রেইজিং ট্রাম্প’।
খুব শিগগিরই বাজারে আসছে। তারই অংশবিশেষ প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। ১৯৮৯ সালের কথা। মার্লা ম্যাপেল নামে এক মহিলা ইভানার কাছে এসে বলেন, ‘আমি তোমার স্বামীকে ভালোবাসি। তুমিও কি ভালোবাসো?’ তন্বী যুবতীর কথায় অবাক হয়ে যান তিনি। সাদা চুলের সেই মহিলাকে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেন। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক আর স্বাভাবিক হয়নি। সে সময় নিউ ইয়র্কের ট্যাবলয়েডগুলো ট্রাম্পের বক্তব্যে হেডলাইন করে ‘শ্রেষ্ঠ যৌন আনন্দ আমি উপভোগ করেছি’ নামে।
ইভানার সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে ম্যাপেলকে বিয়ে করেন। ইভানার সঙ্গে ট্রাম্পের তিন সন্তান রয়েছে— ডোনাল্ড জুনিয়র, ইভাঙ্কা এবং এরিক।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন