‘দুনিয়ার শাস্তি হয়েছে, আল্লাহর শাস্তির চিন্তা করুন’
‘এতিমের টাকা মেরে খাওয়া’ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মৃত্যু পরবর্তী শাস্তির বিষয়টি চিন্তা করতে বলেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
কামরুল বলেন, ‘পাঁচ বছরের জেল, এটা তো কিছু না। এটা তো দুনিয়াবি শাস্তি। এতিমদের টাকা মেরে দেয়ার ফলে আল্লাহর কাছ থেকে যে কতো বড় শাস্তি পাবেন সেটা একবার চিন্তা করেন।’
শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামি পার্টির চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
১৯৯১ সালে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের জুলাইয়ে দুদকের করা মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে বিএনপি আপিল ও খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন করেছে। এর মধ্যে আপিল গ্রহণ করা হলেও জামিন আবেদনের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি হাইকোর্ট। বিএনপির অভিযোগ, খালেদা জিয়া জামিন পাওয়ার যোগ্য হলেও নানা কৌশলে তা আটকে রাখা হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জামিনের জন্য পাগল হয়ে গেছে। জামিনের সিদ্ধান্ত দেবে আদালত। এখানে সরকারের কিছু করার নেই।’
খালেদা জিয়ার রায়, দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের মতো পরিস্থিতি তৈরির জন্য সহায়তা চেয়ে জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বিএনপির চিঠি দেয়ারও সমালোচনা করেন কামরুল। গত বুধবার কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে এই চিঠি দেয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।
জনগণকে উদ্দেশ্য করে কামরুল বলেন, ‘আপনাদের ওপর তাদের (বিএনপি) কোন আস্থা নেই, নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার জন্য তারা বিদেশিদের কাছে ধরণা দেয়, দরবার করে।’
বিদেশিরা নয়, দেশের মানুষই নির্বাচনে ভোট দিবে বলে বিএনপিকে স্বরণ করিয়ে দেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনার বিদেশে কোন প্রভু নেই বরং বন্ধু রয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি বিদেশে তাদের প্রভু বা মালিক খুঁজে বেড়ায়।’
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আলেম ওলামাদের বক্তব্য দেয়ার আহ্বান জানিয়ে কামরুল বলেন, ‘অনেকে বলেন কওমি মাদ্রাসা জঙ্গিদের আখড়া, এটা আমি বিশ্বাস করি না। কারণ, গুলশানের হলি আর্টিজানে যারা হামলা চালিয়েছিল তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদেরকে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জঙ্গিবাদের সাথে যুক্ত করা হয়েছিল।’
‘ইসলাম ধর্ম কখনও জঙ্গিবাদ সমর্থন করে না।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন