দুনিয়া কাঁপানো সেই ছবিটি ছিল সাজানো!
মনে আছে সিরিয়ার শিশু ওমরান দাকনিশের কথা! রক্তাক্ত দেহ, পুরো শরীর জুড়ে ধুলো-বালি। কপাল চুইয়ে রক্ত পড়ছে গালে। কোন এক ধ্বংসস্তুপ থেকে তুলে আনা হয়েছে শিশু ওমরান দাকনিশকে। অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসাপাতালে। হৃদয় বিদারক ওই ছবিটি ভাইরাল হয় গত বছর।
তবে বছর পেরোতে না পেরোতেই ওই ছবিটি সাজানো ছিল এমনটাই দাবি করছেন ওমরান দাকনিশের বাবা। সম্প্রতি খালেদ ইসকাফ নামে সিরিয়ার এক সরকারপন্থী সাংবাদিকের কাছে তিনি এ দাবি করেন। এ দিন পরিবারের সাথে ওমরানের বর্তমান সময়ের একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়। তবে ওমরানের পরিবার এখন যে বাড়িতে বসবাস করছে সেটি সম্পূর্ণ সরকার নিয়ন্ত্রিত।
গত বছর বিরোধীদের উপর বাসার আল আসাদ সরকারের নির্মম বিমান হামলায় ওমরান আহত হয়েছে বলে বিশ্ব মিডিয়ায় প্রচারণা পায়। এটিকে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের চিত্র হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।
ওমরান দাকেশের বাবা মোহাম্মদ দাকনিশ ইরানের আল-আলাম টেলিভিশনের এক প্রতিবেদককে জানান, বাসার আল আসাদ সরকারের উপর হামলা চালানোর জন্য বিরোধী পক্ষ ও মিডিয়া ওমরানকে ব্যবহার করতে চেয়েছিল।
মোহাম্মদ দাকনিশ বলেন, তিনি তার সন্তানের সাথেই বসা ছিলেন। এমন সময় আমার বাড়িতে হামলা হয়। কিন্তু সেটি বিমান হামলা ছিল না। এতে ওমরান খুব সামান্য আহত হয়। তার নিজের ক্ষত থেকে সামান্য রক্ত ছিটকে ওমরানের মুখে লাগে।
হামলার পর মোহাম্মদ দাকনিশ তার অন্য সন্তানদের খুঁজতে থাকেন। এসময় এক অস্ত্রধারী এসে ওমরানকে নিয়ে বাইরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তোলে। সেখানে তারা ওমরানের ছবি তোলে।
ওমরানকে হাসপালে নেয়ার প্রয়োজন না হলেও তারা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এটি ওমরানকে ব্যবহার করে আসাদ বিরোধীদের প্রপাগান্ডা চালানোর কৌশল ছিল বলেও তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, তারা ওমরানের রক্ত নিয়ে ব্যবসা করতে চেয়েছিল। আর এজন্যই তারা তার ছবি প্রকাশ করে।
ওমরান দাকেশের ওই ভিডিও ও ছবি প্রকাশের পর বিশ্বব্যাপী তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বাসার সরকারের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টিতে ঘটনাটি দারুণ উপকারে আসে বিরোধীদের।
সূত্র: বিবিসি
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন