দুর্গম এলাকাগুলোতে ত্রাণ দিতে দেরি হয়েছে : ওবায়দুল কাদের
বন্যা উপদ্রুত এলাকাগুলোর মধ্যে দুর্গম স্থানে ত্রাণ দিতে বিলম্বের স্বীকার করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তবে ত্রাণের কোনো ঘাটতি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, বন্যা প্রলম্বিত হলেও সহায়তার কোনো অভাব পড়বে না।
শুক্রবার দুপুরে দিনাজপুরের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও জেলার বিরল উপজেলার রঘুপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বন্যার্তদের হাতে ত্রাণ তুলে দেয়ার আগে এসব কথা বলেন কাদের।
গত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে উত্তরের বিভিন্ন জনপদ এবং সিলেট অঞ্চল বন্যার পানিতে ডুবে আছে। গত এক সপ্তাহে সিলেট অঞ্চলে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জনপদে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। ২০ লাখেরও বেশি মানুষ ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে নিরাপদ এলাকায়। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য সংকট। কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগ।
এই পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী সংগঠন বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে প্রথমবারের মত দুর্গত এলাকায় গেলেও ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকটি জেলার বন্যা পরিস্থিতি সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিনিয়ত বন্যা ও ত্রাণ কার্যক্রমের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। আমাদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন।’
উজানের দেশ চীন, ভারত, নেপাল ও ভুটানে এ বছর স্মরণকালের মারাতœক বন্যা হয়েছে জানিয়ে কাদের বলেন, ‘উজানের দেশে বন্যা হলে ভাটির দেশ হিসেবে উজানের প্রভাব আমাদের উপর পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। এর আলোকে আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করছি এবং মানুষের জন্য সহনশীল রাখতে সক্ষম হয়েছি।’
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দিনাজপুরে ত্রাণ বিতরণ শেষে ওবায়দুল কাদের যান নীলফামারীর আরেক দুর্গত জনপদ সৈয়দপুর। সেখানেও তিনি ত্রাণ বিতরণ করেন।
এদিকে দুপুরে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় বন্যা করলিত এলাকা পরিদর্শন ও বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি বলেন, ‘বন্যা মোকাবেলায় আমরা ঘরে বসে নেই। জেলা প্রশাসকদের বলেছি, তাদের চাহিদামত প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য ও আর্থিক বরাদ্দ দেয়া হবে। একটি লোকও যাতে খাবারের কারণে কষ্ট না পায় সেজন্য জেলা প্রশাসকদের সার্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন