দুর্নীতির আরেক মামলায় এরশাদের ভাগ্য নির্ধারণ মঙ্গলবার
দুর্নীতির আরেক মামলায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে মঙ্গলবার। উপহার সামগ্রী রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগে তিন বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিল ও রাষ্ট্রপক্ষে সাজা বৃদ্ধির জন্য করা আপিলের রায় ওই দিন ঘোষণা করা হবে।
বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবে।
গত ১৯ এপ্রিল বিমানের রাডার ক্রয় দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পান এইচএম এরশাদ। এ মামলায় অন্য আসামিদেরকে খালাস দেয় আদালত। ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লা এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষ পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করতে না পারায় আসামিরা এ মামলায় খালাস পেয়েছেন বলে আদালত রায়ে উল্লেখ করেছে।
ওই মামলার রায়ের ২০ দিন পর এবার উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগে তিন বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে এরশাদের আপিলের রায় ঘোষণা করতে যাচ্ছে হাইকোর্ট। কয়েক দফা শুনানি শেষে গত ১২ এপ্রিল এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ৯ মে দিন ঠিক করে দেন আদালত। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। এরশাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম।
গত ২৭ মার্চ এরশাদের সাজার বিরুদ্ধে আপিল ও সাজা বৃদ্ধির জন্য সরকারের করা আপিল শুনানির জন্য নতুন এ বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি। এর আগে গত ২৩ মার্চ এরশাদের আপিলের রায় ঘোষণার জন্য নির্ধারিত ছিল। কিন্তু মামলাটিতে সরকারের করা আরও দুইটি আপিল নিষ্পত্তি না হওয়ায় বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা না করে বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন।
গত ৩০ নভেম্বর এ মামলার দ্বিতীয় বারের মতো আপিল শুনানি শুরু হয়। এর আগে ১৯৯৪ সালের ২২ নভেম্বর এই মামলার আপিল শুনানি শেষ হয়ে মামলাটি যেকোনো দিন রায়ের জন্য দিন ধার্যশ ছিল। কিন্তু পরে ওই রায় আর ঘোষণা করা হয়নি।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি থাকাকালে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এরশাদের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৮জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর উপপরিচালক সালেহ উদ্দিন আহমেদ সেনানিবাস থানায় মামলাটি করেন। মামলায় এক কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনাহয়। ওই মামলায় ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের রায়ে এরশাদের তিন বছরের সাজা হয়। একইসঙ্গে ওই অর্থ ও একটি টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশদেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে এরশাদ ১৯৯২ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১২ সালের ২৬ জুন সাজার রায়ের বিরুদ্ধে এইচ এম এরশাদের আপিলে পক্ষভুক্ত হয় দুদক।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন