পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে দুর্নীতির আরেক মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি দুর্নীতিবিরোধী আদালত। সৌদি আরবে আল আজিজিয়া স্টিল মিল কারখানায় নওয়াজের যে বিনিয়োগ, তার কোনো উৎস দেখাতে ব্যর্থ হওয়াতেই সাজার এই রায় এসেছে বলে রয়টার্স খবর দিয়েছে।

সোমবার পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাদের একটি আদালত নওয়াজ শরিফকে এই কারাদণ্ডের আদেশ দেয়। তবে ফ্ল্যাগশিপ ইনভেস্টমেন্ট দুর্নীতি মামলায় খালাস পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া এই দুই মামলায় তাকে ২৫ মিলিয়ন ডলার এবং দেড় মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানা করেন আদালত।

আদালতের রায় শুনানির দিন ধার্য হওয়ায় রবিবার লাহোর থেকে ইসলামাবাদে পৌঁছান পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর নেতা নওয়াজ শরিফ। রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। নওয়াজ আদালতে পৌঁছালে তার দলের নেতাকর্মীরা ভিড় করতে শুরু করেন। এ সময় নওয়াজের সমর্থকরা পুলিশের ওপর পাথর নিক্ষেপ শুরু করলে টিয়ার গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।

এদিকে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছিলেন নওয়াজ শরিফ। এর আগে লন্ডনে চারটি বিলাসবহুল বাড়ির মালিকানা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে গত ৬ জুলাই একই আদালত নওয়াজকে ১০ বছর ও তার মেয়ে মরিয়মকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল।

রায়ের এক সপ্তাহের মাথায় নওয়াজ ও তার মেয়ে লন্ডন থেকে ফিরলে বিমানবন্দর থেকেই তাদের গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো। বন্দি থাকা অবস্থায় স্ত্রী কুলসুম নওয়াজ লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার জন্য গত ১২ সেপ্টেম্বর নওয়াজকে প্যারলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। গত সেপ্টেম্বরে দেশটির হাই কোর্টে ওই দণ্ড স্থগিত হলে কারাগার থেকে মুক্তি পান নওয়াজ ও তার মেয়ে মরিয়ম।