দুর্নীতির মামলায় বিআরটিএর সহকারী পরিচালকের কারাদণ্ড

জাল কাগজপত্র দিয়ে নতুন রেজিস্ট্রেশন করে চোরাই গাড়ি সড়কে চলাচলের ব্যবস্থা করে দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) পরিদর্শক আইয়ুব আনসারিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বরিশালের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মেহেদী আল মাসুদ রায় দেন বলে বেঞ্চ সহকারী আবুল বাশার জানিয়েছেন।

দণ্ডিত সহকারী পরিচালক আইয়ুব আনসারী বিআরটিএর ঢাকা সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পদে কর্মরত। আইয়ুব আনসারী বরিশাল নগরের পশ্চিম কাউনিয়া সাধুর বটতলা এলাকার মৃত আতাহার আলী হাওলাদারের ছেলে।
বিশেষ জজ আদালতের বিশেষ পিপি বিপ্লব কুমার রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বিবরণে বেঞ্চ সহকারী আবুল বাশার বলেন, ২০১১ সালের ২১ মার্চ মশিউর রহমান ঠাকুর নামে এক ব্যক্তির মাইক্রোবাস চুরি হয়। এ ঘটনায় ২৩ মার্চ গৌরনদী থানায় জিডি করেন তিনি। ২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর তিনি জানতে পারেন তার চোরাই মাইক্রোবাসের চেসিস নম্বর ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় পাওয়া অভিযোগ তদন্ত করে ২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বাদী হয়ে বরিশালের কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় বিআরটিএর সহকারী পরিচালকসহ দুইজনকে আসামি করা হয়। ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক একমাত্র আইয়ুব আনসারীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। মামলায় আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় বলে জানান বিশেষ পিপি বিপ্লব কুমার রায়।