দেওয়ানগঞ্জে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশনের প্রতিবাদে সংবাদ সন্মেলন

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ছাবেদা চাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অপপ্রয়াসে মিথ্যে তথ্য পরিবেশন করে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটি।

সোমবার (১ জুলাই) উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের কলাকান্দায় অবস্থিত ছাবেদা চাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছামু মিয়া, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাভলী বেগম, সহকারী প্রধান শিক্ষক মুসলিমা আক্তার। এ সময় বিদ্যালয়ের অনান্য শিক্ষক মন্ডলী ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সন্মেলনে বক্তারা বলেন, ছাবেদা চাঁদ উচ্চ বিদ্যালয় একটি সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অপপ্রয়াসে একটি মহল দীর্ঘদিন থেকে নানা ভাবে চেষ্টা করে আসছে। তারই অংশ হিসেবে সাংবাদিকবৃন্দকে মিথ্যে তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘কালবেলা’ নামের একটি সংবাদ মাধ্যমের পেজে ‘দুই সতিনের আয়নাবাজি’ শিরোনামে সংবাদ পরিবেশিত হয় এবং দৈনিক ‘আজকের পত্রিকা’য় ‘প্রধান শিক্ষক ঢাকায় প্রক্সি দেন সতিন শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সামিউল আলম ছামু মিয়া কারসাজি করে তার প্রথম স্ত্রী লাভলী বেগমকে ছাবেদা চাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পদে নিয়োগ দেন। লাভলী বেগম ঢাকায় বসবাস করেন। তার পরিবর্তে ছামু দ্বিতীয় স্ত্রী মুসলিমা বেগম বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি লাভলী বেগমের স্বাক্ষর জাল করে বেতন ভাতা তুলছেন এবং ভোগ করছেন। প্রধান শিক্ষক লাভলী বেগম বিদ্যালয়ে আসেন না বা মাঝে মাঝে আসেন। তার পরিবর্তে প্রক্সি দেন তার সতিন মুসলিমা বেগম। ঘটনাটি সম্পূর্ণ রূপে মিথ্যে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

প্রকৃতপক্ষে, ছামু মিয়ার প্রথম স্ত্রী ছাবেদা চাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাভলী বেগম ঢাকায় স্থায়ী ভাবে বসবাস করেন না। তিনি মাঝে মাঝে ঢাকায় যান। সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার বন্ধের সময় প্রধান শিক্ষিকা লাভলী বেগম ঢাকায় অবস্থান করতেন। সপ্তাহের বাকি পাঁচ দিন সে তার কর্মস্থল ছাবেদা চাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালন করেন। লাভলী বেগমের পরিবর্তে কেউ প্রক্সি দেন না। লাভলী বেগম হাজিরা খাতায় নিজের স্বাক্ষর নিজে দেন এবং নিজে তার বেতনভাতা ভোগ করেন। তিনি নিয়মিত তার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অন্যদিকে মুসলিমা বেগম পাশাপাশি অবস্থিত বাহাদুরাবাদ টেকনিক্যাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ভিডিওতে সাক্ষাতকার নেওয়ার সময় মুসলিমা বেগম বাহাদুরাবাদ টেকনিক্যাল স্কুলের অফিস কক্ষে বসে বলেন আমি এই বিদ্যালয়ে শুরু থেকে প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত আছি। তিনি ছাবেদা চাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের কথা বলেননি।

সংবাদ সন্মেলনে বক্তারা, মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং সত্য বিষয়টি সবার সামনে তুলে ধরারা জন্য সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।