দেশজুড়ে আনন্দ শোভাযাত্রা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেসকো ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে দেশজুড়ে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ শুরু হয়েছে।

প্রতিনিধিদের দেয়া তথ্যমতে- চট্টগ্রাম, বরিশাল, ময়মনসিংহ, রাজশাহীসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে শোভাযাত্রা শুরু হয়েছে।

আর রাজধানীর শোভাযাত্রাটি দুপুর ১২টায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর থেকে যাত্রা শুরু করে শেষ হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সেখানে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নেতাকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, সংস্কৃতিক ব্যক্তি, ক্রীড়াবিদ, এনজিও কর্মী, স্কাউটসদস্যসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা এতে অংশ নেবেন।

শোভাযাত্রাটি কোন পথ থেকে কোন দিকে যাবে সে বিষয়ে একটি রুট ম্যাপ দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগ। এই রুট ম্যাপ দেখে নগরবাসীকে চলাচল করতে ও ট্রাফিক বিভাগকে সহযোগিতা করতে অনুরোধ করেছে ডিএমপি।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপি জানিয়েছে, দুপুর ১২টায় আনন্দ শোভাযাত্রাটি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর থেকে যাত্রা শুরু করবে। এরপর মিরপুর রোডের রাসেল স্কয়ার ক্রসিং হয়ে কলাবাগান দিয়ে সায়েন্স ল্যাব থেকে বামে মোড় নেবে। সেখান থেকে বাটা সিগন্যাল ও কাঁটাবন ক্রসিং পেরিয়ে শাহবাগ হয়ে ডানে মোড় নিয়ে ছবির হাট হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে শেষ হবে শোভাযাত্রাটি।

এরপর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতাস্তম্ভে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ছবির হাট গেট (চারুকলার বিপরীতে), টিএসসি গেট, বাংলা একাডেমির বিপরীতের গেট, কালীমন্দির গেট ও তিন নেতার মাজার গেট দিয়ে উদ্যানের ভেতরে প্রবেশ করা যাবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেসকোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’-এ বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় দেশজুড়ে এই আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচি উদযাপনের জন্য র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), পুলিশ, আনসার ও ভিডিপিসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী সতর্ক অবস্থায় থাকবে।