দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন মুশফিক
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের প্রথম টেস্টে বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ, ৩৩৩ রানে। তার চেয়ে বড় হতাশার কথা, ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ছিল লজ্জাজনক ব্যাটিং ব্যর্থতা। মাত্র ৯০ রানে ইনিংস গুটিয়ে নেন মুশফিক-তামিমরা। দলের এমন ব্যর্থতায় রীতিমতো বিস্মিত ক্রিকেটপ্রেমীরা। এমন বাজে হারে স্বাভাবিক কারণেই হতাশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও। তবে এই ব্যর্থতায় দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চান তিনি।
টেস্টে বাংলাদেশের এমন বাজে ব্যাটিং খুব সম্প্রতি দেখা যায়নি। হিসাব কষে বললে সর্বশেষ ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বোর পি সারা ওভালে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৬২ রানে অলআউট হয়েছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের দল। টেস্টে এখন পর্যন্ত সেটিই বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোর। টাইগারদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোরটিও লঙ্কানদের বিপক্ষে। ২০০৫ সালে একই ভেন্যুতে ৮৬ রানে অলআউট হয়েছিল হাবিবুল বাশারের দল।
দলের এই ব্যর্থতায় হতাশ মুশফিক ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি, এভাবে হারতে হবে তা কখনই ভাবিনি আমি। তাই এই হারের জন্য পুরো জাতির কাছে ক্ষমা চাইছি আমি। যে অবস্থা ছিল, অবশ্যই আমাদের পক্ষে কঠিন ছিল ম্যাচ বাঁচানো। কিন্তু এমনভাবে হার মেনে নেওয়া কঠিন।’
এ জন্য বাংলাদেশ অধিনায়ক নিজেও হতাশ, ‘আমাদের ব্যাটিংয়ের কথা যদি বলতে হয়, আমি খুবই হতাশ। অধিনায়ক হিসেবে বলব, আমি নিজেও জানি না বাংলাদেশ শেষ কবে এমন বাজে ব্যাটিং করেছে। ১০০ রানের নিচে শেষ কবে অলআউট হয়েছি সেটাও মনে করতে পারছি না।’
ম্যাচে টসে হেরে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪৯৬ রান গড়ে। জবাবে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৩২০ রান করে। প্রোটিয়ারা দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৭ রান করে প্রতিপক্ষের সামনে ৪২৪ রানের লক্ষ্য বেঁধে দেয়। মুশফিকদের দ্বিতীয় ইনিংস ৯০ রানে গুটিয়ে গেলে বড় ব্যবধানে হেরে যান স্বাগতিকরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন




