দেশের ইতিহাসে পায়রাকে প্রথম গভীরতম সমুদ্রবন্দর ঘোষণা
নানার গুঞ্জন আর নিন্দুকের মিথ্যা অপপ্রচার কাটিয়ে শেষ হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ খনন প্রকল্পের কাজ। বংলাদেশের ইতিহাসে স্বাধীনতার পর এই প্রথম সম্পন্ন হলো আলোচ্য এই ব্যয়বহুল প্রকল্প। বেলজিয়াম ভিত্তিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান (জান ডি নুল) পায়রা বন্দরের রামনাবাদ চ্যানেলের এই ক্যাপিটাল ড্রেজিং কাজ সফল ভাবে সম্পন্ন করে।
এর মধ্যেদিয়ে ১০ দশমিক ৫ মিটার নাব্যতার সৃষ্টি হয়েছে চ্যানেলটিতে। ফলে দেশের অন্যসব বন্দরের চেয়ে গভীরতম বন্দর হিসেবে এখন রুপ নিয়েছে পায়রা। আর তাই লাইটারেজ জাহাজের সাহাজ্য ছাড়াই সরাসরি বন্দরের জেটিতে পণ্য খালাস করবে মাদার ভ্যাসেল। দেশে এযাবৎ কালের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ও সর্ববৃহৎ খনন কাজের সফল সমাপ্তি ঘটলো তাও আজ স্বাধীনতা দিবসে। তবে স্মরণীয় এই দিনটিকে আরো স্মরণীয় করে রাখতে বেলজিয়াম ভিত্তিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে খননকৃত চ্যানেলটি বুঝে নেয় পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এর আগে নানান প্রতিকূলতার মাঝেও পায়রা সমুদ্র বন্দরে পণ্যবাহী জাহাজ প্রবেশের লক্ষে চ্যালেঞ্জের মধ্যদিয়ে ২০২১ সালের জানুয়ারীতে চ্যানেল খনন প্রকল্পের কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জান ডি নুল । এটি এখন সম্পন্ন হওয়ায় ৭৫ নটিক্যাল মাইল দৈর্ঘ ও ১১০ থেকে ২০০ মিটার প্রস্থের চ্যানেলটির গভীরতা ১০৫ দশমিক মিটারে উন্নতী হয়েছে। ফলে বলা চলে এখন গভীরতম এই বন্দরে প্যানামে· সাইজের মাদার ভ্যাসেল অনায়াসেই নোঙর করবে জেটিতে। যাতে বৃদ্ধি পাবে বন্দরের আমদানী রপ্তানী কার্যক্রম। হস্তান্তর অনুষ্ঠানে পটুয়াখালী ৪ আসনের সংসদ সদস্য মো.মব্বিুর রহমান বলেন, একমাত্র প্রধান মন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আজ পায়রা বন্দর গভীরতম সমুদ্র বন্দরে রুপ নিয়েছে। সেতু পদ্মা নির্মাণের সময়ও বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব ব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন নিজ দেশের অর্থায়নে পদ্মা নির্মাণ করবেন। এবং তিনি সেটি করে দেখিয়েছেন।
বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল সোহায়েল আহম্মেদ সাংবাদিকদের জানান, পায়রা সমুদ্র বন্দর এখন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে গভীরতম সমুদ্রবন্দর। আমরা আশা করছি খুব শ্রীঘ্রই চলতি বছওে প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পও শেষ হবে। ইতোমধ্যে ইনারবাওে ১৫টি জাহাজ রাখা যাবে। সেখানে লোডিং আনলোডিং কার্যক্রমও চলবে।এদিকে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত মেইনেটনেন্স ড্রেজিং করবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জান ডি নুল জানিয়েছে বন্দর কৃর্তপক্ষ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন