দেশে গ্যাস মজুদের পরিমাণ ৩৯.৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, পেট্রোবাংলা প্রণীত সর্বশেষ প্রাক্কলন অনুযায়ী দেশে মোট প্রাথমিক গ্যাস মজুদের পরিমাণ ৩৯.৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
এর মধ্যে উত্তোলনযোগ্য প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মজুদের পরিমাণ ২৭.৭৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। ১৯৬০ সাল থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্রমপুঞ্জিত গ্যাস উত্তোলনের পরিমাণ প্রায় ১৫.২২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমানে (জানুয়ারি ২০১৮) উত্তোলনযোগ্য নিট মজুদের পরিমাণ ১২.৫৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ এসব কথা বলেন।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বাপেক্স ২০২১ সালের মধ্যে ৫৭০ লাইন কিলোমিটার ভূতাত্ত্বিক জরিপ ৯ হাজার ৮০০ লাইন কিলোমিটার ২ ডি সিসমিক সার্ভে এবং ২ হাজার ৯৪০ কিলোমিটার ৩ ডি সিসমিক সার্ভে করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
এছাড়া রূপকল্প ২০২১-এর আওতায় মোট ১০৮টি কূপ (৫৩টি অনুসন্ধান কূপ, ৩৫টি উন্নয়ন কূপ ও ২০টি কূপ ওয়ার্কওভার) খননের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
বর্তমান সরকার দেশের অনুসন্ধান কোম্পানি বাপেক্সের কারিগরি সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে গভীর কূপ খননের ক্ষমতাসম্পন্ন ৪টি আধুনিক রিগ ক্রয় করাসহ অনুসন্ধান কার্যক্রমের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন যন্ত্রাংশ কেনা হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, দেশে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা ৩ হাজার ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুটের বিবেচনায় দেশে বর্তমানে গ্যাসের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ১ হাজার ২৪১ বিলিয়ন ঘনফুট।
আরেক প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বৃহৎ ও মাঝারি শিল্প খাতে ১৮.৩১ শতাংশ ও ক্ষুদ্র শিল্পে ১৪.৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এ সময়ে বিসিকের মাধ্যমে ৪২টি নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান চালু করা সম্ভব হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন