দ্রব্য মূল্য ক্রয়সীমার বাইরে
দেশে চলছে দুর্নীতি আর মিথ্যাচারের মহোৎসব : মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার আগামী নির্বাচন নিয়ে আগের খেলায় মেতে উঠেছে। এখন থেকেই বিরোধী দলকে মাঠ থাকে সরিয়ে দিতে মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার শুরু করে দিয়েছে।
মঙ্গলবার গুলশানের বিএনপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, দেশের বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করে তালিকা করে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে সরকার। স্থানীয় নির্বাচনে আমরা অংশ না নিলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও নির্যাতন করছে সরকার।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার প্রয়োগসহ মুক্ত মত প্রকাশের জন্য স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে। আজকে সেই দেশে, মানুষের সব অধিকার হরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে চলছে দুর্নীতি আর মিথ্যাচারের এক মহোৎসব। দেশে বর্তমানে দ্রব্য মূল্য মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে চলে গেছে, বিদ্যুতের অসহনীয় লোডসিডিং চলছে এর ফলে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা অস্বাভাবিক দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে, কৃষক সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ না করে বিগত দিনের ন্যায় ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিরোধী মতের নেতা-কর্মীদের ওপর বিভিন্ন কৌশলে নির্যাতন নিপিড়ন চালাচ্ছে।
ফখরুল বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো এবং দেশবাসী এই সরকারের অধিনে নির্বাচন না করা এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচনের দাবিতে যখন ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, ঠিক সে সময় অবৈধ সরকারের মন্ত্রী এবং শাসকগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য মিথ্যাচার ও অলীক কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। জনগণ ইতোমধ্যে এই সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে রক্ত দিয়ে শহীদ হয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই অবৈধ সরকারের অধিনে কোনো নির্বাচনই নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে না। জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না। সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে এই অবৈধ সরকার পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি আজ গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, সর্বশেষ আশ্রয় স্থল বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করা হয়েছে। সরকার প্রধানের ইচ্ছামত মানুষকে কারাগারে বন্দি রাখা, নির্যাতন করা বিচার বিভাগের অবৈধ সরকারের নির্দেশে ফরমায়েশী রায় প্রদান করে বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে মামলা-হামলায় কারাগারে প্রেরণ ও সাজা প্রদান করছে। তারই ধারাবাহিকতায় উচ্চ আদালতের জামিন থাকার পরেও জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালসহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুসহ প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মীকে নিম্ন আদালত কারাগারে প্রেরণ করেছেন যা আইনের শাসনের পরিপন্থী বলে জনগণ মনে করেন।
তিনি আরও বলেন, সরকার বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ফরমায়েশী রায় দিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন অব্যাহত রেখেছেন। পুনরায় জিয়া পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নতুন নতুন মিথ্যা মামলা দিয়ে চার্জ গঠন করে সাজা দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সারাদেশের মানুষ তাদের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। সরকারের কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র, দমন, প্রলোভন এই আন্দোলনকে বিভ্রান্ত, বাধাগ্রস্থ করতে পারবে না। তাই সময় থাকতেই জনগণের মনোভাব বুঝে বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা মেনে নিয়ে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় রাজপথে জনগণের দাবির ফয়সালা করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন