দেশে প্রথম সুন্দর একটি নির্বাচন হয়েছে : এরশাদ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘রংপুর সিটি করপোরেশনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। আমার মনে হয়, বাংলাদেশে এই প্রথম সুন্দর একটি নির্বাচন হয়েছে।’

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ।

গত ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। এতে মেয়র পদে জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীক নিয়ে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এক লাখ ৬০ হাজার ৪৮৯ ভোট পেয়ে জয়ী হন। নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র সরফুদ্দীন আহমেদ পান ৬২ হাজার ৪০০ ভোট। আর ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির কাওসার জামান বাবলা পান ৩৫ হাজার ১৩৬ ভোট। রংপুরের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জাতীয় পার্টির কোনো প্রার্থী মেয়র পদে জয়ী হলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আজ বলেন, আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি একটি ফ্যাক্টর হিসেবে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় পার্টিকে সবাই সঙ্গে নিতে চাচ্ছে। তবে নেতাকর্মীদের ওপর নির্ভর করছে তারা কার সঙ্গে জোট বাঁধবে।

জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা জেগে উঠেছে ও ঐক্যবদ্ধ উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, রংপুর নির্বাচনের আগে বলেছিল নির্বাচন কমিশনের এটা পরীক্ষা। সে পরীক্ষায় নির্বাচন কমিশন উত্তীর্ণ হয়েছে।

ব্যক্তিগত একদিনের সফরে উড়োজাহাজে করে আজ চট্টগ্রাম আসেন এরশাদ। এ সময় জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, মাহামুদুল ইসলাম ও সোলায়মান আলম শেঠ এবং চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মেহজাবিন মোর্শেদ এমপি উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টি সংগঠিত হচ্ছে। ৩০০ আসনে আমাদের প্রার্থী আছে। কতজন জয়ী হতে পারে, সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত নই। তবে রংপুরে বিপুল ভোটে বিজয়ের পর কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে।’

দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হওয়ায় দেশের যুবসমাজ বিপথে চলে যাচ্ছে উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, এটি জাতির জন্য লজ্জাজনক। তিনি যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নতুন নতুন শিল্পকারখানা গড়ে তোলা ও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার ওপর জোর দেন।

এর আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হোটেল রেডিসন ব্লুতে প্রবেশের পর দলের চেয়ারম্যানের পাশের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে সোলায়মান আলম শেঠ ও মাহজাবিন মোর্শেদ এমপির মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও মাহজাবিনের স্বামী মোর্শেদ মুরাদ ইব্রাহিম কয়েকজন কর্মী নিয়ে সোলায়মান আলম শেঠকে চেয়ারম্যানের পাশের সিট থেকে সরিয়ে দেন। পরে তিনি পাশের একটি চেয়ারের হাতলের ওপর বসে পড়েন।