দেহ দাহ করার পরে জীবিত অবস্থায় বাড়িতে হাজির সেই মৃত ব্যক্তি!
মৃতদেহ শনাক্ত করে সেই দেহ দাহ করার পরে মৃত ব্যক্তি জীবিত অবস্থায় বাড়িতে হাজির হলেন। আর তাই দেখে বাড়ির সদস্য থেকে শুরু করে পুলিশ পর্যন্ত সবার চক্ষু চড়কগাছ। আর এই অবাক করা ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবং রাজ্যের জলপাইগুড়ির মাল ব্লকের ক্রান্তিতে। ঘটনায় এলাকায় অত্যন্ত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
শনিবার গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়ি বাজার থেকে গিরেন রায় (৫৪) নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে মালবাজার পুলিশ। মৃতের দুই ছেলে সঞ্জিত রায় (২৭) ও বিশ্বজিৎ রায় (২৪)সহ বাড়ির অন্যান্য সদস্য এসে তার দেহ শনাক্ত করেন।
গিরেন রায়ের বাড়ি ক্রান্তির রাজাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ হাসখালি এলাকায়। ছেলেরা জানান, তাদের বাবার গত চার বছর ধরে মানসিক সমস্যা ছিল। কখনও বাড়িতে থাকতেন, কখনও বাইরে চলে যেতেন। গতকালই জলপাইগুড়িতে ময়নাতদন্তের পরে, কাঠাম বাড়ি এলাকায় বাবার মৃতদেহ সৎকার করেন ছেলেরা।
সব ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু হঠাৎ শনিবার ক্রান্তি এলাকার মানুষ দেখতে পান গিরেন রায় বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর এতেই হতবাক এলাকার মানুষ। যে ব্যক্তিকে শুক্রবার রাতে শ্মশানঘাটে জ্বালিয়ে সৎকার করা হল, সেই ব্যক্তি আবার বাজারে কীভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
প্রথমে এলাকার মানুষ ভয় পেয়ে যান। তার পরে কয়েক জন যুবক তাকে তার বাড়িতে পৌঁছে দেন। বাড়িতে আসা মাত্রই ছেলে সঞ্জিত, বিশ্বজিৎ-সহ বাড়ির লোকেরা ঘাবড়ে যান। রবিবার সকাল থেকে গিরেন রায়কে দেখতে ভিড় করেন এলাকার মানুষ। আসে ক্রান্তি ফাঁড়ির পুলিশও।
দুই ছেলে সঞ্জিত ও বিশ্বজিৎ’র বক্তব্য, যিনি জীবিত অবস্থায় বাড়িতে এসেছেন, তিনিই তাঁদের বাবা। আর এই ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। তবে সেই দুই ছেলে জানিয়েছেন, যার সৎকার করা হয়েছে তার জন্য তারা তিন দিন নিয়ম অনুয়ায়ী শ্রাদ্ধের কাজ করবেন।
সূত্রঃ এবেলা
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন