ছাত্রীর আত্মহত্যা
দোষীদের বিচারে যা করার তাই করবো: জবি উপাচার্য


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচণা দানকারী শিক্ষক দ্বীন ইসলাম ও শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীসহ এ ঘটনায় জড়িত প্রক্টরিয়াল কমিটি এবং ছাত্র উপদেষ্টাকে তদন্তের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য সাদেকা হালিম। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার দিবাগত রাতে (১৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, আমার হাতে আইনগতভাবে যতটুকু ক্ষমতা রয়েছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে পাবো। এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে তদন্তের আওতায় আনা হবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তদন্তের জন্য জবির আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, শুধু অবন্তিকা নয়, এরআগেও বিভিন্ন যৌন হয়রানির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিচার মেলেনি। এর জন্য অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। সে সব ঘটনারও বিচার করতে হবে।
জবাবে উপাচার্য বলেন, আমি নভেম্বরে দায়িত্ব নিয়েছি। এরপর থেকে যতগুলো অভিযোগ পেয়েছি সেগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানানো হবে। চলতি মাসেই সিন্ডিকেট সভায় সে সব অভিযোগের সুরাহা হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত শিক্ষককে সহকারী প্রক্টর পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকেও সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ সময় উপাচার্য সাদেকা হালিম আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অভিযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণেরও আহ্বান জানান।
শুক্রবার রাত ১০টায় নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে অবন্তিকা তার মৃত্যুর জন্য সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করেন। পরে কুমিল্লার নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দেন তিনি। তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনা জানার পর উত্তাল হয়ে ওঠে জবি ক্যাম্পাস। অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাস এলাকায় টায়ারে আগুন নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। শিক্ষার্থীরা সহকারী প্রক্টর দীন ইসলাম ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দীকির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তোলেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে শান্ত করার চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন