দৌলতদিয়ায় পারের অপেক্ষায় শতশত যান

ঈদুল আজহার ৬ষ্ঠ দিনে আজও কর্মস্থলমুখী মানুষ ও যানবাহনের বাড়তি চাপ রয়েছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায়।

এতে দৌলতদিয়া প্রান্তে প্রায় ৫ শতাধিক যানবাহন নদী পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে আটকা পড়েছে। সিরিয়ালে আটকে থেকে গরমে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে দৌলতদিয়া প্রান্তের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ঢাকামুখি যাত্রীবাহী পরিবহন, ট্রাক ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি সিরিয়ালে থাকতে দেখা যায়। তবে বাইপাস সড়কসহ মূল সড়কে ছোট গাড়ির সিরিয়ালও রয়েছে।

এছাড়া ঢাকামুখী লোকাল যাত্রীদের ভিড় দেখা যায় লঞ্চ ও ফেরি ঘাটে।

দীর্ঘ সময় সিরিয়ালে বসে গরম সহ্য না করতে পেরে অনেক যাত্রী হেঁটে, অটোরিকশা কিংবা ভ্যানে করে মালামাল নিয়ে লঞ্চ ও ফেরি ঘাটে যাচ্ছেন।

নদীতে তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়া, ঈদ পরবর্তী চাপ ও শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটের যানবাহনের বাড়তি চাপে দৌলতদিয়া প্রান্তে এ সিরিয়াল তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দৌলতদিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ। তবে সময় যত বাড়বে ততই যানবাহনের সিরিয়াল দীর্ঘ হবে বলে ধারণা করছেন যাত্রী ও চালকরা।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. খোরশেদ আলম জানান, ঈদ পরবর্তী যানবাহনের বাড়তি চাপ, নদীতে প্রচণ্ড স্রোত এবং শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় দৌলতদিয়া ঘাটে অতিরিক্ত গাড়ি রয়েছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে এখন ৭০ থেকে ৮০টি যাত্রীবাহী বাস, দেড় শতাধিক ছোট গাড়ি, প্রায় আড়াই থেকে তিনশ পণ্যবাহী ট্রাক সিরিয়ালে রয়েছে।

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যানবাহন পারাপারে বর্তমানে ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। দ্রুত এ সিরিয়াল কমে যাবে।