উপজেলা নির্বাচন:

দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু,ভোটকেন্দ্রে কঠোর নিরাপত্তা বলয়

দেশের ১৫৬টি উপজেলায় শুরু হয়েছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ ধাপে ২৪ উপজেলায় ইভিএমে ভোট হচ্ছে। এ ছাড়া বাকি উপজেলায় ব্যালটে ভোটগ্রহণ করছে ইসি। সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনি মাঠে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ভোটের পরেও দুই দিন তারা থাকবেন।

কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দুর্গম এলাকার ৬৯৭ কেন্দ্রে গতকাল ব্যালট পেপার পাঠানো হয়েছে। আর বাকি ১২ হাজার ৩২৩ কেন্দ্রে ব্যালট গেছে আজ ভোটের দিন সকালে। সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি (উপজেলায়) এলাকায় ভোটের দিন সাধারণ ছুটি রয়েছে।

ইসি জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬১ উপজেলায় তফসিল দেওয়া হলেও দু’টি উপজেলায় তিন পদেই বিনাভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া স্থগিত, আইনি জটিলতা ও ধাপ পরিবর্তনের কারণে তিনটিতে ভোট হচ্ছে না।

ফলে আজ ভোটগ্রহণ হচ্ছে ১৫৬ উপজেলায়। এসব উপজেলায় মোট প্রার্থী ১ হাজার ৮২৪ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৬৯৩ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫২৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দ্বিতীয় ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২২ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে সাতজন, ভাইস চেয়ারম্যান আটজন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতজন রয়েছেন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র বিবেচনায় পর্যাপ্ত এবং কোথাও অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের সুপারিশ করেছে ইসি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠিও পাঠানো হয়েছে। সে হিসাবে সাধারণ কেন্দ্রে ১৭ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮-১৯ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া দুর্গম এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০-২১ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

আবার উপজেলার আয়তন, ভোটার সংখ্যা ও ভোটকেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। একইসঙ্গে নিরাপত্তা বিবেচনায় ১৬ উপজেলায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, ১৫৬ উপজেলায় মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি মোতায়েন থাকবে ৪৫৮ প্লাটুন। ভোটকেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন থাকবে ৪৭ হাজার ৮২৯ জন। স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিম হিসেবে পুলিশ থাকবে ১৯ হাজার ৫৭ জন। এলিট ফোর্স র‍্যাব থাকবে ২ হাজার ৭৬৮ জন ও আনসার সদস্য থাকবে ১ লাখ ৯৩ হাজার ২৮৭ জন।

ভোটের আগে-পরে নির্বাচনী আচরণবিধি মানাতে ইসির পক্ষ থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। তারা কাজ শুরু করেছেন ভোটগ্রহণের তিন দিন আগেই। আজ ভোটের দিন এবং আগামীকালও প্রতি তিন ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। একইসঙ্গে ভোটগ্রহণের দু’দিন পর পর্যন্ত প্রতি উপজেলায় একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।