দ্রব্যমূল্য, দূষণ ও যানজটে দুর্বিষহ নগরজীবন : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ঢাকা মহানগর উত্তর

অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দূর্নীতির কারনে নগরবাসী ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে। লাগামহীন দ্রব্যমূল্যে জীবনযাত্রার ব্যয় চরমে উঠায় দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে নগরজীবন। ফলে বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে নগরজীবন।

আজ ০৮ ডিসেম্বর বুধবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের এক জরুরী বৈঠকে নগর সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

নগর সেক্রেটারী মাওলানা আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসনে, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন (পরশ), অর্থ সম্পাদক ডাক্তার মুজিবুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতী আব্দুল্লাহ আল-মোর্তজা প্রমুখ।

শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন; শিক্ষা, চিকিৎসা, চাকুরী, ব্যবসা, কেনাকাটা থেকে নিয়ে সবকিছুর জন্য ছুটে আসেন রাজধানী ঢাকায়। রায়ুদূষণ, শব্দ দূষণ, তীব্র যানজট, যত্রতত্র আবর্জনা, লাগামহীন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য, চিকিৎসা সেবায় অপ্রতুলতা, সড়ক দূর্ঘটনা সহ নানাবিধ সমস্যায় দুর্বিষহ হয়ে উঠছে নগরজীবন।

যানজটের কারণে ভোগান্তি প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। মিরপুর থেকে পল্টন যেতে সময় লেগে যায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘন্টা। যানজটের কারণে মানুষের কর্মঘন্টা যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি একারণে ভোগান্তির শিকার নগরবাসীর মানসিক রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার প্রভাব ব্যক্তিজীবনের পাশাপাশি পরিবার ও সমাজের ওপর পড়ছে। এছাড়াও রাজধানী ঢাকার অসম সম্প্রসারণের কারনে প্রতিবছর মোট জিডিপির প্রায় ৬ শতাংশ ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট।

তিনি আরও বলেন; ১৩৪ বর্গকিলোমিটারের ঢাকায় মাত্র ৬ বর্গকিলোমিটার নালা-পুকুর রয়েছে। অথচ এই অল্প পরিধির নালা-পুকুর ঠিক মত পরিষ্কার করা হয় না। যে কারনে প্রতিবছর মশার কামড়ে ডেঙ্গু ভাইরাসের উপদ্রব ঘটে। ২০২০ সালের বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ চলাকালীন সময়ে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ না করায় নগরবাসীকে মাসূল দিতে হচ্ছে এ বছরও। এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন শত শত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এছাড়াও যত্রতত্র আবর্জনার ভাগাড়, অপরিকল্পিত ও সমন্বয়হীন খোঁড়াখুঁড়ি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন দুর্নীতিতে নগরবাসী নগরে বসবাসের ধৈর্য্য হারাচ্ছে নিয়মিত। ছেড়ে যাচ্ছে ঢাকা। প্রতিটি বাড়িতে ঝুলছে টু-লেট। জরুরী ভিত্তিতে এই নগরকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হলে এক সময় হয়তো ঢাকা ফাঁকা হয়ে যেতে সময় লাগবে না। আমরা চাই সুপরিকল্পিত ও বাস্তবসম্মত টেকসই উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে ঢাকাকে বসবাসের উপযোগী করা হোক।