দ্রুত গণটিকা কর্মসূচী বাস্তবায়ন করতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ

গণটিকা নিয়ে বারবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে বেশিসংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনার কর্মসূচিটি শুরুতেই হোঁচট খেল বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, এ পরিস্থিতি মানুষকে আশাহত ও শঙ্কিত করে তুলবে, সন্দেহ নেই। বড় আকারে গণটিকাদান কর্মসূচির ঘোষণা মানুষকে করোনা মোকাবিলার ব্যাপারে আশাবাদী করে তুলেছিল। কাজেই যত দ্রুত সম্ভব এ লক্ষ্য পূরণ করতে হবে আমাদের। অন্যথায়, বড় ঝুঁকিতে পড়তে পারে দেশ।

রবিবার (৮আগস্ট) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বকে রীতিমতো ওলটপালট করে দিচ্ছে করোনা নামের ভাইরাস। এ মহামারিতে বিশ্বে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কোটি কোটি মানুষ পড়েছে আর্থিক সংকটে। মৃত্যু, শোক আর সংকটের মধ্যে কাটিয়েছে মানুষ। বড় ধরনের সংকটে পড়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এ প্রেক্ষাপটে জীবন ও জীবিকা দুটির সুরক্ষার জন্যই বড় প্রয়োজন দেশের সিংহভাগ মানুষকে করোনা টিকার আওতায় আনা।

নেতৃদ্বয় বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষ এখনও জানে না কোথায়, কখন, কীভাবে টিকাদান ক্যাম্পেইনের আওতায় টিকা দেওয়া হবে। এক এক সময় এক এক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এ বিভ্রান্তি আরও বেড়েছে।

১৮ বছরের বেশি বয়সী সবাইকে গণটিকা কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নেতৃদ্বয় আরো বলেন, পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে টিকাকেন্দ্রে উপস্থিত সবাইকে টিকা দিতে হবে। এমনকি পরিচয়পত্র না থাকলেও ১৮ বছর পূর্ণ হলেই তাকে টিকার আওতায় আনা উচিত।

তারা টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বয়স্কদের পাশাপাশি উৎপাদনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত গার্মেন্টস শ্রমিকসহ শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষকে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, টিকা গ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে জনগণকে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করতে সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সামাজিকভাবে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে।