ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণের অধিকার ইসরাইলের নেই : এরদোগান
বৃহস্পতিবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান জেরুজালেমে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনায় আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশে নতুন করে ইসরাইলি নিষেধাজ্ঞার পর ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলি প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
গত সপ্তাহে গোলাগুলির ঘটনার কারণে আল-আকসা মসজিদে জুমার নামাজ বন্ধ করে দিয়েছিল ইসরাইল। এরপর সপ্তাহজুড়ে ফিলিস্তিনিসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের প্রতিবাদের মুখে মসজিদটি খুলে দেওয়ার পর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইল।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে এরদোগান ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এরদোগান বলেন, ‘আল-আকসা মসজিদে মুসলিমদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা অগ্রহণযোগ্য। ইসলামী জীবন বিধান, পবিত্র আল-হারাম শরীফ (আল-আকসা মসজিদ) এবং আল-কুদস (জেরুজালেম) রক্ষা করা গোটা মুসলিম বিশ্বের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ‘
গত সপ্তাহে গোলাগুলির ঘটনায় তিন জন ফিলিস্তিনিসহ দুইজন ইসরাইলি পুলিশ নিহত হয়। এ ঘটনার অযুহাতে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ জুমার নামাজ ও আল-আকসা ব্ন্ধ করে দেয়।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট রুইভেন এর সাথেও এ বিষয়ে আলোচনা করেন এবং আল-আকসাতে মুসলিমদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
এরদোগান ইসরাইলি প্রেসিডেন্টকে বলেন, ‘কোনো শর্ত ছাড়াই মুসলিমদের আল-আকসাতে প্রবেশ করতে দিতে হবে। ইসরাইলের কোনো অধিকার নেই মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণ করার’।
ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট রুইভেন বলেন, নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল এবং প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে আশ্বাস দিয়েছেন যে হারাম আল-শরীফ সম্পর্কে তাদের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন হবে না এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা সীমিত করা হবে না।
১৯৬৭ সালে ইসরাইল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়। ১৯৮০ সালে সমগ্র শহরটিকে একত্রিত করে এটিকে ইসরাইলের একটি অবিচ্ছেদ্য এলাকা হিসাবে ঘোষণা করে। তবে দেশটির এই পদক্ষেপে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কোনো স্বীকৃতি নেই।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন