ধর্ষক ‘আর জে ইভান’ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র?
বনানী থানায় দায়ের হওয়া ধর্ষণ মামলার আসামির নাম বাহাউদ্দিন ইভান। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ইভান নিজেকে পরিচয় দিয়েছে ‘আর জে ইভান’ নামে। দুই-দুইটি বিয়ের তথ্য পাওয়া গেলেও সে নিজেকে অবিবাহিত বলে দাবি করেছে। এছাড়া পড়াশোনার ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পার হতে না পারলেও সে নিজেকে কখনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবার কখনও নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। এভাবে বিভিন্ন তরুণীর সঙ্গে পরিচিত হয়েছে সে। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে বিভিন্ন জনকে বিয়ে করার মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে। এদেরই একজন শিক্ষার্থী বুধবার(৫ জুন) রাজধানীর বনানী থানায় ইভানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাজধানী বনানী এলকায় বসবাসরত ইভানের ঘনিষ্ঠরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এই বাড়িটিও ঈবানের পরিবারের দখলেনাম ও পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ইভানের একাধিক ঘনিষ্ঠ জন জানান, ইভান রাজধানীর একটি কলেজে যাতায়াত করলেও লেখাপড়ায় মনোযোগী ছিল না। তখন থেকেই ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে। মাদকদ্রব্য সেবনের জন্য তাদের দখলে থাকা টিনসেডের একটি বাড়ির একটি ঘর ব্যবহার করতো ইভার। এছাড়া তার স্ত্রী ও সন্তানের অনুপস্থিতিতে ন্যাম ভিলেজ ভাড়া ফ্ল্যাটের বাসাতেই ইয়াবা সেবন করত।
ইভানের ঘনিষ্ঠ আরেক জন বলেন, ‘মাস ছয়েক আগে একজন তরুণীকে জোর করে ধরে নিয়ে বনানীর চেয়ারম্যানবাড়ির মাঠের পাশে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় ইভান ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনার পর সহযোগীসহ তাকে ধোলাই দিয়ে আটকে রাখে স্থানীয় লোকজন। পরে ইভানের বাবা জানতে পেরে স্থানীয় কমিশনার এবং প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে নিজের ছেলেকে উদ্ধার করেন। যদিও মারধরের শিকার ইভানের শরীরে একাধিক সেলাই দিতে হয়েছিল। এজন্য হাসপাতালে চিকিৎসাও নিতে হয়েছিল তাকে।
ইভানের বন্ধুরা জানান, বর্তমানে তার স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। এই স্ত্রীকে ঘরে আনার আগে আরও একটি বিয়ে করেছিল ইভান। এছাড়া প্রকাশ্যে ও গোপনে নাম না জানা অসংখ্য মেয়ের সঙ্গে প্রতারণার ফাঁদ পাতার স্বভাব তার অনেক আগে থেকেই রয়েছে।
তার বন্ধুরা আরও জানান, ইভান কোনও কিছুই করতো না। বাবা বোরহান উদ্দিনের জমির দালালি কর্মকাণ্ডে সহায়তা ছাড়া সারাদিনই নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতো। মস্তানি ও নেশার সহযোগী হিসেবে তার পাঁচ থেকে ছয় জনের একটি সিন্ডিকেটও রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বনানীর ২ নম্বর রোডের ডি ব্লকের ২৯৮ নম্বর বাড়ির একটি সাইবোর্ডে লেখা আছে, নাজভীন ভিলা (ইতি) নামে। এই বাড়ি ও জমি নিয়ে আদালতে মামলা থাকলেও এখন তা ইভানের বাবা বোরহান উদ্দিনের দখলে। এছাড়া বনানী ৮ নম্বর রোডের মাথায় দুই নম্বরের বাড়ি ও দোকান-ঘর তাদের অবৈধ দখলে আছে। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন