ধর্ষণের পর রক্তক্ষরণে তরুণীর মৃত্যু

দলগত ধর্ষণের পর ব্যাপক রক্ত ক্ষরণের ফলে ১৬ বছর বয়সী তরুণীর মৃত্যু ঘটেছে। ভারতের পাঞ্জাবের ফাজিলকা জেলার ওই তরুণীকে তিনজন মিলে ধর্ষণ করেছিল। ধর্ষণের পর তিনদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে রোববার রাতে না ফেরার দেশে চলে যায় সে।

তবে এ ঘটনায় জড়িতদের কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করেনি পুলিশ। চান্দিগড় থেকে ২৮৫ কিলোমিটার দূরে জালালাবাদের একটি সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল ওই তরুণী।

বুধবার বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার সময় তিনজন যুবক তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণকারীদের মধ্যে দলিত সম্প্রদায়ের একজন ছিল।

নিহতের পরিবার বলছে, পার্শ্ববর্তী একটি মাঠে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের পর তাকে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা। তারপর আর বাড়ি ফিরতে পারেনি সে।

মেয়ের ফিরে আসতে দেরি দেখে খুঁজতে বের হন বাবা-মা। একপর্যায়ে তাকে মাঠের মধ্যে অচেতন অবস্থায় খুঁজে পান তারা। ওই সময় তরুণীর ব্যাপক রক্ত ক্ষরণ হচ্ছিল।

তরুণীর মায়ের ভাষ্য অনুযায়ী, একটি পেট্রল পাম্পের কাছ থেকে তাদের মেয়েকে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী একটি মাঠের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ধর্ষক তিনজনের একজন তাদের মেয়ের সঙ্গে একই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। তাকে তিনি চেনেনও। তরুণীর বাবার দাবি, আমরা আমাদের মেয়েকে হারিয়েছি। এখন আমরা দোষীদের বিচার চাই।

জালালাবাদ পুলিশের উপ-প্রধান অমরজিৎ সিং সিধু জানান, এ ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

সূত্র : এনডিটিভি