ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’, বাংলাদেশে প্রভাব পড়ার শঙ্কা নেই
আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) স্থলভাগে স্পর্শ করতে পারে এ ঘূর্ণিঝড়। গতিবেগ ৭৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও উত্তর অথবা উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
এতে আরও বলা হয়— গভীর নিম্নচাপটি সোমবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪০ কিলোমিটর দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি উত্তর অথবা উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
ভারতীয় আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের কাছ দিয়ে এগিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ বুধবার (২৩ মার্চ) ভোরে মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
তবে বাংলাদেশ উপকূলে এর তেমন প্রভাব পড়ার শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান।
উপকূল অতিক্রমের আগেও ঝড়টি দুর্বল হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে আব্দুল মান্নান বলেন, বাংলাদেশ উপকূলে এর প্রভাব পড়ার শঙ্কা নেই।
তবে গভীর নিম্নচাপে প্রভাবে উত্তাল রয়েছে সাগর। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্রবন্দরে এক নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে থাকা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে পরামর্শ দিয়েছে অধিদফতর।
বুলেটিনে জানানো হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর মাঝারি ধরনের উত্তাল রয়েছে।
এদিকে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আগামী ৫ দিন সারা দেশে বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রা কমতে পারে।
সোমবার রাঙামাটিতে সর্বোচ্চ ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ ছাড়া সর্বনিম্ন ১৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। এদিন ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন