ধৈর্যের দৃষ্টান্ত রেখে মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি
টেস্ট ক্যারিয়ারে তার প্রথম টেস্ট আর দ্বিতীয় টেস্টের মাঝে ব্যবধান ছিল আট বছর ও ৩৫ টেস্টের। ২০১০ সালে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেও দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি তিনি পূরণ করেন ২০১৮ সালে এসে। তৃতীয় সেঞ্চুরির জন্য অবশ্য তাকে ১৬ দিন ও এক টেস্টের বেশি অপেক্ষা করতে হলো না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরেই ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এক টেস্ট বিরতি দিয়ে একই মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পেলেন সেঞ্চুরি। আগের সেঞ্চুরিরটি অপেক্ষার রেকর্ড গড়ে। এদিন অবশ্য মাহমুদউল্লাহ সেঞ্চুরি করলেন ধৈর্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
শুক্রবার ১৯০ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর উইকেটে এসেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে দার্দান্ত জুটিতে দিনটি নিজেদের করেছেন। এরপর লিটন দাসকে নিয়ে শনিবার প্রথম সেশনে টেস্টের নাটাই নিয়েছেন নিজেদের হাতে। পরে দ্রুত উইকেট পড়লেও মাহমুদউল্লাহ থাকলেন অবিচল। নবম উইকটে তাইজুলের সঙ্গে জুটিতে সেঞ্চুরি পূরণ করেন মাহমুদউল্লাহ।
২০৩ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন মাহমুদউল্লাহ। রোস্টন চেজকে চার হাঁকিয়ে শনিবার সেঞ্চুরির মাইফলকে পৌছান এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তার আগে প্রমাণ দিলেন টেস্ট সুভল ব্যাটিং মানসিকতার।
অস্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজ যখন প্যাভিলিয়নে ফিরেন, তখন বাংলাদেশ ৪১৬; মাহমুদউল্লাহ রান ৮৪। শেষ দুজন ব্যাটসম্যানকে নিয়ে মাহমুদউল্লাহ শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি পান কিনা সে শঙ্কা তখন ভালোভাবেই জেঁকে বসেছিল। তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন মাহমদুউল্লাহ। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। একপ্রান্ত আগলে রেখে দারুণ খেলেছেন এই স্পিনার। ঠিক প্রকিত ব্যাটসম্যানের মতোই সতীর্থকে দিয়েছেন সঙ্গ।
ওদিকে টেলেন্ডার ব্যাটসম্যানকে নিয়ে ব্যাট করে মোটেও খেলার ধরন বদলাননি মাহমুদউল্লাহ। শুরুর ধরনের মতোই খেলেছেন। দ্রুত কয়েক বলের মধ্যে সেঞ্চুরি তোলার তাড়া ছিল না তার। নবম উইকেটেও যে মাথা ঠান্ডা রেখে ব্যাট করা যায়, তার চূড়ান্ত উদাহরণ দিয়েছেন এই ব্যাটসম্যান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন