নওগাঁয় তীব্র শীতের মধ্যে বোরো ধান চাষে ব্যস্ত চাষিরা
বেশ কিছুদিন ধরে নওগাঁ জেলা জুড়ে বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। তীব্র শীত আর হিমেল বাতাসে জনজীবন যবুথবু অবস্থা। তার পরেও এই কনকনে শীতের মধ্যে শুরু করেছে চাষীরা বোরোধান রোপণ। তীব্র শীত কে উপেক্ষা করে বোরো ধান চাষে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে নওগাঁ জেলার চাষিরা।
শ্রমিক সংকটের কারনে কিছু কিছু জায়গায় ধানের চারারোপণ করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে বলে জানা বেশ কিছু চাষীরা। জেলার অধিকাংশ উপজেলার বুরোধান ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে সেচ পাম্প ও বৈদিক মোটরের সাহায্যে ক্ষেতে পানি দিচ্ছেন চাষিরা। ধান রোপণ করতে পাওয়ারট্রলি ও হালের গরু দিয়ে জমি প্রস্তুত, বীজ তলা থেকে চারা সংগ্রহ ও ধানের রোপনের ব্যস্ত সময় পার করছে তারা।
পরিবারের চাহিদা মেটাতে ও বাণিজ্যিকভাবে উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের ধান চাষের উৎসবে মেতেছে কৃষক কৃষানীরা। ধান রোপণের শ্রমিক মান্দা উপজেলার টিটিহারী গ্রামের সুলতান হোসেন বলেন, আমরা চুক্তিভিত্তিক প্রতি বিঘা ধান লাগাতে ২ হাজার টাকা নিয়ে থাকি। ভোরে কুয়াশার মধ্যে বীজ তলা থেকে ধানের চারা সংগ্রহ করে সেগুলো মাথায় করে জমিতে নিয়ে গিয়ে ধান লাগানো হয়।
নিয়ামতপুর উপজেলার আগোর গ্রামের আরেক শ্রমিক মাহাবুল ইসলাম বলেন, এখন ধান লাগানোর মৌসুম। এই সময় কাজ বেশি থাকে। মৌসুম শেষ হয়ে গেলে আবার কাজ কম হয়ে যাবে। তাই আমাদের দলের সবাই ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান লাগানোর কাজ করি। তীব্র শীতের মধ্যে প্রতিদিন ভোরে ঠান্ডা পানি থেকে ধানের চারা সংগ্রহ করে কাঁদার মধ্যে ধানের চারা রোপণ করি। প্রতি বছরে এই ভাবে শীতের মধ্যে এই কাজ করতে করতে আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে।
ধান চাষি আবুল হোসেন বলেন, আমি দুই বিঘা জমিতে জিরা শাহিল জাতের ধান লাগাতে চাচ্ছি। জমি ও ধানের চারা প্রস্তুত করা হয়ে গেছে। কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারনে ধান লাগাতে ৩/৪ দিন দেরি হবে মনে হচ্ছে। নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান,এবার ১ লাখ ৮৪ হাজার ২৮৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ৪০/৫০ শতাংশ ধান রোপণ করা হয়েছে। বাকিগুলো রোপণের প্রস্তুতি চলছে। শীতের তীব্রতা বেশি থাকলেও ঘনকুয়াশা কম আছে যার কারনে ধানের বীজতলা ও চারার কোনো ক্ষতি হবেনা জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন