নওগাঁয় পটলের সঙ্গে শত্রুতা : সব হারিয়ে নিঃস্ব কৃষক লুৎফর রহমান

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় মো.লুৎফর রহমান নামে এক কৃষকের পটল ক্ষেতের সব গাছে কেটে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, একই গ্রামের বুদা মন্ডলের পরিবারের সাথে ঐ পটল ক্ষেত নিয়ে বিরোধ চলছে। বুদা মন্ডল পৈত্রিক সুত্রে ঐ জমির দাবি করে প্রতিদিন ঝগড়া গন্ডগোল করছে। তবে বাড়ির পাশে উঁচু জমি হওয়ায় ঐ ২০ শতাংশ জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষাবাদ করে সংসার চলে কৃষক লুৎফর রহমানের। চলতি মৌসুমে ওই জমিতে পটল চাষ করেন তিনি। পটল গাছে পুরো মাচায় ছড়িয়ে পড়েছে। ধরেছে ফুল ও ফল। পটলের বাজারজাত শুরু করেছেন লুৎফর রহমান। প্রতি সপ্তাহে ১২ থেকে ১৪ মন পটল তোলেন বাজারে বিক্রিয়ের উদ্দেশ্য।

তাজাউল নামে এক প্রতিবেশী পাশেই তার পটল ক্ষেতে গিয়ে দেখতে পান বুদা মন্ডল ও তার পরিবারের লোকজন হাঁসুয়া নিয়ে লুৎফর রহমানের পটলের আইলে দাড়ায়ে আছে। পরে লক্ষ করে দেখে গাছ মরে যাচ্ছে। পরে দেখেন মাচাংয়ের নিচে প্রতিটি পটল গাছের গোড়া কাটা। ২০ শতাংশ জমির প্রায় সবগুলো পটল গাছ কেটে দিয়েছে। পরে ক্ষেত থেকে এসে লুৎফর রহমানের পরিবার কে খবর দেয়।

হারুন নামে আরেক প্রতিবেশী জানায়, পটল ক্ষেতে ৭/৮ শত গাছ কেটে দিয়েছে বুদা মন্ডল ও তার পরিবার। এই পটল ক্ষেত থেকে লুৎফরের পুরো পরিবার চলে। পরিবারটি পথে বসেছে। তার ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, সন্তানের মতই পটল ক্ষেতে যত্ন করতাম। ফলনও হয়েছিল বাম্পার। পটল তুলে বাজারে বিক্রিও শুরু করেছি। এমন ফল ধরা ক্ষেতের এত বড় ক্ষতি করল তারা। এনজিও থেকে ঋন নিয়ে পটল ক্ষেত তৈরী করেছি। এখন বউ বাচ্চাদের কি খাওয়াবো। আমি বুদা এবং তার পরিবারের শাস্তি চাই।

তবে বুদা মন্ডলের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে সে বাড়িতে না থাকায় তার স্ত্রী বিউটি বেগম বলেন, আমরা পটলের গাছ কাটিনি। তারা পটলের গাছ কেটে আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। তবে ঐ জমি নিয়ে আমাদের সাথে গন্ডগল হচ্ছে। আমরা দলিল দেখতে চাইলে তারা বিভিন্ন ভাবে তালবাহানা করছে।

বদলগাছী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো.মাহবুব আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্তের পর জানা যাবে আসলে ঘটনা কি?