নওগাঁয় বীর শহীদদের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

সারাদেশের ন্যায় নওগাঁতেও হাজার বছরের গর্বিত বাঙালি জাতির বীরত্বের অবিস্মরণীয় দিন আজ। মহান বিজয় দিবস। প্রতিবছর বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর কৃতজ্ঞতায় দিনটি পালন করে জাতি। দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে নওগাঁয়।

আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহরের মুক্তির মোড়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সর্বস্তরের মানুষ। সূর্যোদয়ের সঙে সঙ্গে তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর প্রথমে ফুল দিয়ে প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়াল।

পরে একে একে পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধারা, সিভিল সার্জন, নওগাঁ জেলা বি এন পি সংগঠন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দল ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। দিনভর শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে ফুলে ফুলে ভরে উঠবে এই শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভ।

এর মাধ্যমে স্মরণ করা হবে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। এছাড়াও মান্দার পাকুড়িয়া বধ্যভূমিতে বিজয় দিবসের ১৬ ডিসেম্বর পাকুড়িয়া ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় বিএনপি’র উদ্যোগে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ঐতিহাসিক পাকুড়িয়ার বধ্যভূমিতে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি জিল্লুর রহমান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মকলেছুর রহমান মকে।অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মান্দা উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক, নওগাঁ জেলা ড্যাব- এর সাধারণ সম্পাদক ডাঃ ইকরামুল বারী টিপু।

বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারশোঁ ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হক,সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোজাহারুল ইসলাম নান্নু, মান্দা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব অধ্যাপক এমদাদুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক শামিম হোসাইন, যুবদলের নেতা আল মামুন, কৃষক দলের সদস্য সচিব এজানুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারশোঁ ইউনিয়নের সদস্য সচিব নাসির উদ্দিন, শ্রমিক দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোর্শেদ, স্থানীয় নেতা আনোয়ার হোসেন, যুবনেতা ইমাজ উদ্দিন,ছাত্রদল নেতা রনি ইসলাম প্রমুখ।

উল্লেখ্য,১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ২৮ আগস্ট পাকুড়িয়া ইউনাইটেড হাই স্কুল মাঠে একসাথে পাকুড়িয়া গ্রামের ১২৮ জন মানুষকে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করেছিল পাক বাহিনী। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের পূর্ব মূহুর্তে সেইসব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তাঁদের রক্তের শপথ নিয়ে দেশ গঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়।