নওগাঁয় মাহে রমজানের ঈদকে সামনে রেখে নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই

নওগাঁয় মাহি রমজানের ঈদকে সামনে রেখে নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই,যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে, লাচ্ছা সেমাই কারখানাগুলোতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই।

নওগাঁ জেলার বেশ কয়েকটি কারখানায় দৈনিক অন্তত ১৫০ মণ লাচ্ছা সেমাই উৎপাদন করা হয়। এসব লাচ্ছা সেমাই খোলা ও প্যাকেটজাত হয়ে জেলার চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে আশপাশের কয়েকটি জেলাতেও। নোংরা পরিবেশে সেমাই তৈরি হলেও প্রশাসনের নজরদারির ঘাটতি রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। তবে, আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কাছে সাধারণ মানুষ।

জেলার লাচছা সেমাই কারখানাগুলোতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে এই সব লাচ্ছা সেমাই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার আত্রাই উপজেলার বান্দাইঘারা বাজার, বদলগাছী উপজেলার কোলা বাজার,মান্দা উপজেলার সতিবাজার মহাদেবপুর উপজেলার মেইন রোড ও মহাদেবপুরের নওহাটা মোড় সহ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে এই সব লাচ্ছা-সেমাই কারখানাগুলোতে নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে লাচ্ছা-সেমাই আর ঐ সব কারখানা থেকে যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার সহ মহল্লার দোকানগুলোতে।

সরেজমিনে বদলগাছী উপজেলার কোলা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাইরে থেকে তালা দিয়ে ভেতরে চলছে সেমাই তৈরি। বাইরে থেকে ভেতরে লোকজনের উপস্থিতি বোঝা গেলেও দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরও কেউ সাড়া দিলেন না। একপর্যায়ে পজিটিভ সংবাদ প্রচারের আশ্বাস দিলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলে।

ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, তৈরি করা লাচ্ছা সেমাই শুকানো হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। সঙ্গে মিশছে ধুলাবালি। ঘরের নোংরা মেঝেতেই রাখা হয়েছে লাচ্ছা সেমাই; যেখানে মাছিদের রাজত্ব। কারখানার শ্রমিকরা জানান,লাচ্ছা সেমাই ঢেকে রাখার জন্য তারা মালিক ও ম্যানেজারকে পলিথিন কিনে দেয়ার জন্য বলেছেন। কিন্তু তাদের পলিথিন এনে দেয়া হয়নি।

ফলে লাচ্ছা সেমাইয়ে মাছি বসছে। আত্রাই উপজেলার বান্দাঘারা বাজারের পাশে লাচ্ছা সেমাই কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, নোংরা আর স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে ক্ষতিকর রং মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই। শ্রমিকদের গায়ে নেই স্বাস্থ্যসম্মত পোশাক, খোলা হাতেই মাখানো হচ্ছে ময়দা।

এছাড়া বেশ কয়েকটি লাচ্ছা সেমাই কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে সেমাই তৈরির পর তা ঘরের মেঝেতে ঢেলে চকচকে প্যাকেটজাত করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের দেখে তাড়াহুড়া করে গায়ে অ্যাপ্রোন পরেন শ্রমিকরা। এ সময় তারা জানান, গরমের কারণে অ্যাপ্রোন খুলে রেখেছিলেন তারা।

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের ব্যাপারে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি কারখানা মালিকের, উল্টো শ্রমিকদের দোষারোপ করে ‘শ্রমিকদের আমরা অ্যাপ্রোন ও হ্যান্ডগøাভস দিয়েছি। স্বাস্থ্যসম্মতভাবে লাচ্ছা সেমাই তৈরি করতে বলেছি। নওগাঁ জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা চিন্ময় প্রামানিক বলেন, লাচ্ছা সেমাই কারখানাগুলো পরিদর্শন করে মানসম্মত লাচ্ছা সেমাই উৎপাদন করা না হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’