নওগাঁয় হামলার ঘটনায় পাল্টা-পাল্টি মামলায় আসামী ৭৭জন রাণীনগরে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্পাদকসহ ৩জন গ্রেফতার

নওগাঁর রাণীনগরে নির্বাচনী প্রচারনা নিয়ে দ্বন্দ্বে হামলা ও মারপিটের ঘটনায় থানায় পাল্টা-পাল্টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দায়েরকৃত দুটি মামলায় মোট ৭৭জনকে আসামী করা হয়েছে। এঘটনায় থানাপুলিশ বুধবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।

হামলার ঘটনায় নৌকা প্রতিকের সমর্থক কাশিমপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে বাদল হোসেন বাদী হয়ে ট্রাক প্রতিকের কর্মী-সমর্থক ১১জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ৩০/৪০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরে থানাপুলিশ অভিযান চালিয়ে ট্রাক প্রতিকের সমর্থক কাশিমপুর গ্রামের মেহের আলীর ছেলে অফিল উদ্দীনকে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করে।

অপরদিকে ট্রাক প্রতিকের কর্মি আহত আনোয়ার হোসেনের ছেলে সবুজ আলী বাদী হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১৬জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৮/১০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে কাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েতুর রহমান সেন্টু এবং ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে নৌকার সমর্থক খট্রেশ^র পশ্চিমপাড়া গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে রুস্তম আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়েদ জানান,হামলা ও মারপিটের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার প্রেক্ষিতে ট্রাক প্রতিকের একজন ও নৌকা প্রতিকের দুইজন কর্মী/সমর্থকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বুধবারই আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য,সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার কাশিমপুর চারাপাড়া এলাকায় আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনিত প্রার্থী এমপি আনোয়ার হোসেন হেলালের নৌকা প্রতিকের সমর্থক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক সুমনের ট্রাক প্রতিকের সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে দ্বন্দ্বে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে নৌকার সমর্থক বাদল হোসেনসহ উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। এর পর ওই রাতেই ট্রাক প্রতিকের কর্মী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি পশ্চিম বালুভরা গ্রামের মনছের আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৫০) এর উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আনোয়ার হোসেনের দাঁত ও পা ভেঙ্গে যায়। এছাড়া একই সময় উপজেলা সেচ্ছা সেবকলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেকসহ আরো কয়েক জনের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে।