নওগাঁর আত্রাই ও ফকিন্নি নদীর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা সংসদ সদস্য গামার পরিদর্শন

কয়েকদিনের একটানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নওগাঁর মান্দায় হু হু করে বাড়ছে আত্রাই ও ফকিন্নি নদীর পানি। বর্তমানে এ দুটি নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এরই মধ্যে বেশকিছু এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। নদীপাড়ের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের বন্যায় ভেঙে যাওয়া কয়েকটি বেড়িবাঁধ মেরামত করা হয়নি।

২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় ভেঙে যাওয়া উত্তর নুরুল্লাবাদ ও চকরামপুর এলাকায় বেড়িবাঁধের দুটি স্থান আজও অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করলে ভাঙা এসব স্থান দিয়ে পানি অনায়াসে লোকালয়ে প্রবেশ করবে। পানিবন্দি হয়ে পড়বে অন্তত এক হাজার পরিবার।

এদিকে আত্রাই ও ফকিন্নি নদীর পানি বাড়তে থাকায় আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) নদী দুটির ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এসএম ব্রহানী সুলতান মামুদ গামা। এসময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম কুমার সরকার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নওসাদ আলীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, পানি বিপৎসীমা অতিক্রিম করলে এ দুই নদীর উভয় তীরে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত ৩০টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে। পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার আগেই ঝুঁকিপূর্ণ এসব স্থান সংস্কার করা হলে বন্যার প্রবনতা অনেকাংশে কমে যাবে। তখন নদীপাড়ের মানুষকে আর নির্ঘুম রাত কাটাতে হবে না।

পাহারা বসাতে হবে না বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্থানীয় সংসদ সদস্য এসএম ব্রহানী সুলতান মামুদ গামা বলেন, বন্যা মোকাবেলায় সবধরণের আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে কাজ করার জন্য নওগাঁ পানি উন্নয়নবোর্ডকে নির্দেশ নেওয়া হয়েছে।

এমপি গামা আরও বলেন, বন্যা মোকাবেলায় পাউবোর পাশাপাশিকাজ করছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তর। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সজাগ থাকারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।