নওগাঁর পত্নীতলায় নির্বাচনী সহিংসতার মামলায় মুক্তি পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা

পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ মামলায় ৯ নং ঘোষনগর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফারজানা পারভীন বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ নওগাঁ জেলা কারাগার হতে মুক্তি পেয়েছেন।প্রসঙ্গত

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ঘোষনগর ও নজিপুর ইউনিয়নের তিনটি কেন্দ্রে ভোট গণনা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশ ভ্যানে অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনায় পত্নীতলা থানায় মামলা হয়েছে। এতে ১১৩ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাত দুই থেকে আড়াই হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে পত্নীতলা থানা পুলিশ।

এরপর মামলায় প্রধান অভিযুক্ত আসামি ঘোষনগর ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী) চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারজানা পারভীনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, বুধবার পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে উপজেলার ঘোষনগর ইউনিয়নের ঘোষনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কমলাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র এবং নজিপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের পর গণনা ও ফলাফল ঘোষণা বিলম্বিত এবং সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দ্রের প্রিসাডিং কর্মকর্তারা ফলাফল ঘোষণা না করেই কেন্দ্র ত্যাগ করার চেষ্টা করে।

এ সময় কেন্দ্রগুলোর আশপাশে থাকা কয়েক হাজার মানুষ পুলিশ, আনসার ও ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের পথ রোধ করে।ঘটনার সময় ভোটের দায়িত্বে থাকা স্ট্রাইকিং ফোর্সের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল গণি ও পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ সদস্যদের নিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করতে যান। উত্তেজিত জনতা ঘোষনগর কেন্দ্রের কাছে একটি পুলিশ পিকআপ ও রিকুইজিশন করা একটি মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শটগান থেকে ২৮ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।

সংঘর্ষের সময় একজন পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে একটি শটগান ও ২০ রাউন্ড গুলি ছিনতাই করে দুবৃর্ত্তরা। রঘুনাথপুর ভোটকেন্দ্রের কাছে কর্তব্যরত ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্সের সদস্যদের সঙ্গে স্থানীয় জনগণের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১১১ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করে বলে এজহারে উল্লেখ করা হয়।

পত্নীতলা থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুর রহমান বলেন, পুলিশের ওপর হামলা, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগে বৃহস্পতিবার ১১৩ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় ঘোষনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফারজানা পারভীনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। তাকে রাতেই ঘোষনগর ভোট কেন্দ্রে এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।