নওগাঁর বদলগাছিতে অপহরণ মামলার আসামির পকেটে পাওয়া গেল মাদক

নওগাঁর বদলগাছীতে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করার দায়ে প্রধান আসামি রবিউল ইসলাম (২৮) কে আটক করে পুলিশ।

এ সময় তার পকেটে নেশা জাতীয় ১৯ পিচ
ট্যাফেন্টাডল ট্যাবলেট পাওয়া যায়। এ ঘটনায় জড়িত মূল আসামি সহ আরো দুই জন কে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার মিঠাপুর ইউনিয়নের সাগরপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

অভিযুক্ত আসামিরা উপজেলার সাগরপুর গ্রামের হাসান আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম ও একই গ্রামের ফিরোজ হোসেন এবং নাসিম হোসেন।

পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত ১৫ এপ্রিল ষষ্ঠ শ্রেণীর এক মাদ্রসা ছাত্রী প্রধান আসামির বাড়ীর পাশ দিয়ে প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিল। এ সময় প্রধান আসামি রবিউল
ইসলাম স্কুল পড়–য়া ঐ ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে।

পরে স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে প্রধান আসামি রবিউল সহ সহযোগী ফিরোজ ও
নাসিম কে আটক করে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, রবিউল ইসলাম একজন মাদক সম্রাট। সে দীর্ঘ দিন থেকে এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছে। থানা পুলিশ তাকে মাদক মামলায় বিভিন্ন সময় আটক
করলেও, সে জামিনে বের হওয়ার পর আবার মাদক ব্যবসা শুরু করেন।

স্থানীয়রা আরো জানান, রবিউল এর আগে তিনটি বিয়ে করেছে। মাদক ব্যবসার পাশাপাশি সে কিশোরী মেয়ে কে টার্গেট করে বিভিন্ন প্রলোভনে তার প্রেমের জালে জড়ায়। এরপর তদের পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করে। যদি কেউ প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হয়। তাহলে তাকে অপহরন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে গাঁ ঢাকা দিয়ে থাকে।

তার কাজই হলো মাদক ব্যবসার পাশাপাশি কিশোরী মেয়েকে টার্গেট করে অপহরণ করা। আমরা তার উপযুক্ত
বিচার দাবি করছি। ভবিষ্যতে কেউ যাতে এরকম মাদক ব্যবসা সহ কিশোরী মেয়ে কে অপহরণ করার সাহস না পায়।

স্থানীয় মামুন ও আনোয়ার সহ কয়েকজনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তারা জানান, রবিউল একজন এলাকার বিশিষ্ট্য মাদক ব্যাবসায়ী। তার মাদক ব্যবসার কারনে এলাকার যুব সমাজ প্রায় ধঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। মাদক সহ বারবার তাকে আটক করলেও মামলার ফাঁক ফোঁকরে সে জামিন পায়। আমরা এলাকাবাসি তার উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি।

সে কয়েক দিন আগে এলাকার এক ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণ করে। তার বিরুদ্ধে এলাকায় নানা ধরনের
অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শাহজাহান আলী জানান, রবিউল একজন এলাকার মাদক সম্রাট হিসাবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে মাদক সহ বিভিন্ন অপরাধে আদালতে ৯ টি মামলা চলমান রয়েছে। গতকাল রাতে তাকে অপহরণ মামলায় আটক করার সময় তার শরীরে নিষিদ্ধ ১৯ পিচ ট্যাফেন্টাডল ট্যাবলেট পাওয়া গেছে।

আজ দুপুরে তার নামে নিয়মিত মাদক মামলা রুজু করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।