নওগাঁর বদলগাছীতে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও আটা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ

নওগাঁর বদলগাছীতে ওএমএসের আটা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষ। ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও আটা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। ফলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানালেন। খোলা বাজার ডিলারের দোকানে প্রতিদিন অসংখ্য নিম্ন আয়ের মানুষ আটা কিনতে এসে খালি হাতে ফিরছে। বদলগাছী উপজেলায় ৩টি ডিলারের দোকানে খোঁজ নিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
অফিস সূত্রে জানা যায়, সরকার খাদ্য অধিদপ্তরের সহায়তায় বদলগাছী উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে আটা বিক্রির জন্য ৩ জন ডিলার নিয়োগ করেছেন। একজন ডিলার সরকারি ছুটি ব্যতিত সপ্তাহে ৫দিন আটা বিক্রি করতে পারবে। ডিলার ২৪ টাকা কেজি দরে জনপ্রতি ৫ কেজি করে আটা বিক্রি করতে পারবে।বদলগাছী উপজেলায় প্রতিদিন ১হাজার কেজি আটা এতে প্রতিদিন ২০০ জন নিম্ন আয়ের মানুষ আটা কিনতে পারছেন।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কয়েক শত মানুষ আটা কিনতে আসছেন। আগের রাত ১০.০০টা থেকেই ডিলারের দোকানে সামনে ভিড় জমছে ও লাইন ধরে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে তারপরও আটা না পেয়ে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন।
বদলগাছীর জিধিরপুর এলাকার বাসিন্দা রিপন হোসেন বলেন, সকাল ৯টা থেকে আটা বিক্রি শুরু হবে। কিন্তু আমি রাত ২টার সময় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি কারণ গত রবিবার ফজরের নামাজ পড়ে এসে দাঁড়িয়েছিলাম কিন্তু আটা পাইনি।আমার সিরিয়াল আসতে আসতে আটা শেষ হয়ে গেছে আমি খালি হাতে বাড়িতে ফিরে গেছি আর তাই আজকে রাত ২টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি।
সদর ইউনিয়নের ডাংঙ্গিসাড়া গ্রামের রুবেল হোসেন বলেন,এর আগে লাইনে দাঁড়িয়ে আটা পাইনি তাই আজকে রাত ১০ টার সময় এসে সিরিয়াল দিয়ে বসে আছি।
মথুরাপুর ইউনিয়নের দরিয়াপুর গ্রামের ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে বৃদ্ধা রুমি বানু বলেন,আগে রাতে না আসলে আটা পাওয়া যায়না বা,কি আর করমু তাই বাধ্য হয়ে এই আগে রাত থেকেই বসে আছো।
ভয়ালপুর গ্রামের সঞ্চিতা কুজুর বলেন,আমি আজকে অনেক ভোরে এসেছি কিন্তু আটা পেলাম না খালি হাতে বাসায় চলে যাচ্ছি।
বদলগাছীর সাধারণ মানুষ আটার সরবরাহ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
বদলগাছী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমান বলেন ,সরকারি বিধি মোতাবেক ডিলারদের মধ্যে আটা সরবরাহ করা হচ্ছে। একজন ডিলার সরকারি ছুটি ব্যতিত সপ্তাহে ৫দিন আটা বিক্রি করছেন। কিন্তু ব্যাপক চাহিদা থাকায় অনেকে আটা না পেয়ে ঘুরে যাচ্ছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে সরবরাহ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন