নওগাঁর বদলগাছীতে ডাকাতি করতে এসে গণপিটুনিতে ১জন নিহত

নওগাঁর বদলগাছীতে ভাঙারি দোকানে ডাকাতি করতে গিয়ে আশাদুল ইসলাম (৪২) নামে এক ডাকাত গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যান তিনি। নিহত ডাকাত আশাদুল উপজেলার কোলার পালশা গ্রামের আব্দুল এর ছেলে। শনিবার ভোরে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের জগৎনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জগৎনগর গ্রামে ভাঙারি ব্যবসায়ী আলামিন হোসেনের বাড়িতে আশাদুল সহ ৫-৬ জন ডাকাতি করতে যায়। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি টের পেয়ে ডাকাতদের আটকের চেষ্টা করে।

এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এসময় অন্যরা পালিয়ে আসতে পারলেও আশাদুলকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে হাত-পা বেঁধে তার দুই পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়। গুরুত্বর আহতবস্থায় আশাদুলকে উদ্ধার করে প্রথমে বদলগাছী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ভাঙারি ব্যবসায়ী আলামিন হোসেন সহ তার পরিবারে তিন জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আলামিন ও তার বড় ভাই আশাদুল এবং তার মা আয়েশা বেগম বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসারধীন রয়েছেন।

ব্যবসায়ী আলামিন বলেন,“ খাওয়া দাওয়া করে রাতে ঘুমিয়ে পড়ি। ঘুমন্ত অবস্থায় আমাকে মারধর করে হাত পা বাঁধার চেষ্টা করে। এমন সময় আমার পরিবারের লোকজন জানতে পারলে ডাকাতদের সাথে মারামারি শুরু হয়। পরিবারের অন্য সদস্যদের ডাকচিৎকারে গ্রামবাসি এগিয়ে আসলে একজন ডাকাত ধরা পড়ে। তাকে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় পুলিশে দেন।

আলামিনের স্ত্রী বৃষ্টি আক্তার বলেন,“ আমার স্বামী শ্বাশুড়ি এবং ভাসুর তিন জনই রক্তাক্ত জখম হয়েছে। তারা এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।”

স্থানীয়রা বলেন,“ এরকম ঘটনা আগে কখনো হয় নি। তারা বহু দিন থেকে ভাঙারি ব্যবসা করতেছে। গত বৃহস্পতিবার এক ট্রাক মাল বিক্রি করে আলামিন ও তার পরিবার। এই খবর ডাকাতরা জেনে গেছে। মূলত মাল বিক্রির টাকা ডাকাতি করতে এসেছিলো ডাকাত দল। তবে ডাকাতি কাজে যারা জড়িত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই আমরা।”

বদলাগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সকল আসামিকে ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মূলত কয়েকজন ডাকাত ভাঙারি মাল বিক্রির টাকা লুট করতে এ ঘটনা ঘটে। মামলার তদন্ত চলছে।বিস্তারিত আপনাদের জানানো হবে।