নওগাঁর মান্দায় নাটকীয় মিথ্যা মামলা ও হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

‎নওগাঁর মান্দায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নাটকীয় মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা, ও খুন- জখমের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলার কসব ইউনিয়নের তালপাতিলা গ্রামের মৃত সানাউল্লাহ মোল্লার ছেলে ভুক্তভোগী নাসির উদ্দিন মোল্লা।

গতকাল ২৩ জুলাই বুধবার দিবাগত সন্ধা ৪ টার সময় মান্দা উপজেলার তালপাতিলা গ্রামে তার নিজ বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী নাসির উদ্দিনের পরিবার। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন, নাসির উদ্দিন স্থানীয় মাতবর সাহারুল ইসলাম, ইয়াদ আলী এছাড়াও লিটন, রকিব, নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।

এছাড়াও এই সংবাদ সম্মেলনে গ্রামের প্রায় শতাধিক লোক এসময় উপস্থিত ছেলেন। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নাসির উদ্দিন লিখিত বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, গত ১৭ জুলাই বৃহস্পতিবার জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে আব্দুল আজিজসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে নওগাঁর আদালতে একটি মামলা দায়ের করি।

এরপর থেকেই আব্দুল আজিজ গংরা আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো, বাড়িঘরে লুটপাট ও খুন জখমের হুমকি প্রদান করে আসছে। এমতা অবস্থায় ২১ জুলাই সোমবার ভোররাতে আব্দুল আজিজ নিজেই বস্তাবন্দির মিথ্যা নাটক সাজিয়ে মাঠের মধ্যে কাঁদায় পড়ে থাকে।

স্থানীয় ও তার পরিবারের লোকজন অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে। এই ঘটনায় মান্দা থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। এবং আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।

এই সংবাদ সম্মেলনে আমরা এই সাজানো নাটকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। স্থানীয় মাতব্বর সাহারুল ইসলাম ও ইয়াদ আলী বলেন, নাসির উদ্দিন মোল্লা এবং আব্দুল আজিজ এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একাধিকবার শালীশ দরবার করেছি। আর এই কারণেই আব্দুল আজিজ মিথ্যা মামলায় আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ভুক্তভোগী নাসির উদ্দিনের ছেলে নাজমুল হক জানান, আমরা আব্দুল আজিজের কাছে জমি পাবো, এই জমি উদ্ধারে আদালতে মামলা করে আমার বাবা। এরপরে আব্দুল আজিজ নাটক সাজিয়ে থানায় আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার জন্য পুলিশকে বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছে। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণীত আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদ্ঘাটনের দাবী জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মুনসুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের শত্রুতা রয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ ঘটনার স্থল একাধিকবার তদন্ত করেছে। সত্য উদঘাটনে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।