নওগাঁর মান্দার জয় বাংলা বাজারে দোকানঘর ভাংচুর ও মালামাল লুট

নওগাঁর মান্দা উপজেলার জয় বাংলা বাজারারে ১২ বছরের দখলকৃত কীটনাশক দোকানঘর ভাংচুর ও মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার সরজমিনে ঘটনার স্থলে গেলে স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষ দোষীরা জানান, প্রকাশ্যে দিবালোকে কীটনাশক দোকান ঘর ভাংচুর করে ১০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলে জানাগেছে, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোঃ বেলাল হোসেন মান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এই ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ১১ নং কালিকাপুর ইউনিয়নের জয় বাংলা বাজারে। ভুক্তভোগি ফতেপুর গ্রামের মৃত পঁচন উদ্দিনের ছেলে বেলাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, মান্দা থানাধীন ছোট মুল্লুক মোজার যে এল নং ২২১,এবং ৭৮ নং খতিয়ানের যার দাগ নং ১৭৩ পরিমাণ সম্পত্তি যার দলিল নম্বর ৬৫২৯ আমি ২০১২ সালে আমার কোবলা পর সেই সম্পত্তিতে ছাদ বিশিষ্ট দোকান ঘর তৈরি করে সার ও কীটনাশকের ব্যবসা চালিয়ে আসতেছে কিন্তু হঠাৎ করে গত ২৯/০৮/২০২৪ ইং তারিখে বৃহস্পতিবার (২৯ আগষ্ট) অভিযুক্ত ফতেপুর গ্রামের মৃত ইয়ার উদ্দিনের ছেলে এন্তাজুল হোক।

এন্তাজুলের ছেলে বুলবুল হোসেন, সহ আঃ মান্নান হোসেন, কামাল হোসেন, মিজানুর রহমান, শফিউল ইসলাম, আঃ-রহমান, আঃ-গফ্ফার,আঃ সালাম, রুবেল হোসেন, কাজল রেখা সহ প্রায় ৪০/৫০ লোকজন আমার নালিশি বর্ণিত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের জন্য দোকান পাট ভাংচুর করে মালামাল ও নগদ অর্থ লুটপাট করে টিনের বেরা দিয়ে ঘীরাও করে নিয়।

এবং নানান রকুমের হুমকি ধামকি প্রদ্ধান করে, এর সুষ্ঠু বিচার পেতে আমি মান্দা থানা একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। এব্যাপারে অভিযুক্ত এন্তাজুল হক, আঃ মান্নান, কালাম হোসেন এবং বুলবুল হোসেন জানান, আমাদের সম্পত্তিতে জোরপূর্বক বছর দশেক আগে বেলাল হোসনে জোরপূর্বক ইটদিয়ে ছাদ ঢালায় দোকান ঘর প্রতিষ্ঠান তৈরি করে।

তাই আমরা আমাদের সন্পদ ফিরে পাবার জন্য টিনের বেরা দিয়ে ঘিরে রেখেছি,কিন্তু আমরা কোন মালামাল লুটপাট করিনি। এবিষয়ে স্থানীয় বাজারের আঃ জব্বার হোসেন, ইব্রাহিম ইসলাম, ও কামাল হোসেন বলেন, হঠাৎ করে এন্তাজুল হোক, বুলবুল হোসেন, আঃ মান্নান হোসেন, কামাল হোসেন, মিজানুর রহমান, শফিউল ইসলাম, আঃ-রহমান, আঃ-গফ্ফার, আঃ সালাম,রুবেল হোসেন, তারা বলেন তাদের জায়গা দাবি করে তারা বলেন, আমাদের জায়গায় কোন দোকান পাট রাখতে দিবনা বলে তারা ভাংচুর করে।

এ বিষয়ে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী জানান জয় বাংলা বাজারে কীটনাশক দোকান ঘর ভাংচুরের থানা একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।