নওগাঁর মান্দার মাদ্রাসা সুপারের চাঁদাবাজি ও জাল স্বাক্ষরের প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

নওগাঁর মান্দা উপজেলার কুড়িয়াপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও জাল স্বাক্ষরের অভিযোগ এনে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে সেই সংবাদের বিরুদ্ধে মাদ্রাসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সহ গণমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিত এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বেলা ২ টার সময় কুড়িয়াপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কুড়িয়াপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মোঃ হাফিজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এই উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কুড়িয়াপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ইয়াচিন আলী, হাফিজুর রহমান, রুহুল আমিন সহ অত্র মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সহ অনেক গন্যমান ব্যাক্তিবর্গরা।

এই সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা বক্তব্যে বলেন একটি মহল মাদ্রাসার সুনাম নষ্ট করার জন্য সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন একটি সংবাদ প্রকাশিত করে নিয়েছেন বেশ কিছু অনলাইন ও জাতীয় পত্রিকায় এই প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে আমরা সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।

বক্তারা বলেন অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি অবৈধভাবে গঠিত একটি এডহক কমিটি বাতিলের উদ্দেশ্যে কমিটির দুই সদস্যের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া পদত্যাগপত্র দাখিল করেছেন। তা সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন,সভায় শিক্ষক, কর্মচারী ও কমিটির সদস্যরা সর্বসম্মতভাবে বর্তমান কমিটি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেন।

শিক্ষক-কর্মচারীদের ভাষ্যমতে, সুপারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। ভুক্তভোগী সুপার জিয়াউর রহমান বলেন, (সভাপতি) আমাকে বলেছিলেন, কমিটি গঠনের জন্য অনেক টাকা খরচ হয়েছে, টাকা দিতে হবে।

তবে এই দাবির টাকা না দেওয়া আমার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে বানোয়াট সাংবাদ প্রকাশ করে নিয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। কুড়িয়াপাড়া দাখিল মাদ্রাসার বিষয়ে মান্দা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলম শেখের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন “মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তদন্তের জন্য একটি চিঠি দিয়েছে। তা আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আমি দ্রুত তদন্ত করে প্রতিবেদন দেব।