নওগাঁর মান্দায় ভিডব্লিউবির তালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ
ভালনারেবল উইমেন বেনেফিট (ভিডব্লিউবি) প্রকল্পের আওতায় নওগাঁর মান্দায় দুস্থ ও অসচ্ছল নারীদের তালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সচিব ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
অনলাইনে আবেদনকারীদের নাম ও ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য যাচাই-বাছাই না করেই গত সোমবার ইউপি কার্যালয়ে সকল সদস্যদের অনুপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে আবেদনকারীদের তালিকা তৈরি করা হয়।
এ তালিকায় অনেক বিত্তবান পরিবারের নারীর নাম উঠে এসেছে। যাদের অনেকের পরিবার ৪ বিঘা থেকে ৪০ বিঘা সম্পত্তির মালিক। অনেকের রয়েছে পাকা বাড়ি ও বিভিন্ন ব্যবসা। যোগসাজসী এ লটারির কারণে প্রকৃত হতদরিদ্র নারীরা বঞ্চিত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে মান্দা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ১০ জন সদস্য। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে নওগাঁ জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবু সাঈদ জালাল চঞ্চল বলেন, ভিডব্লিউবি প্রকল্পের আওতায় তালিকাভূক্ত হওয়ার জন্য নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত ১৬০ জনের বিপরীতে অনলাইনে ৪৮১ জন নারী আবেদন করেন। নীতিমালা আছে ১৫ শতাংশ বা তার কম জমি, ভূমিহীন ও স্বামী অসচ্ছল কৃষিশ্রমিক এসব পরিবারের নারীরা অগ্রাধিকারসহ তালিকাভূক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্যানেল চেয়ারম্যান চঞ্চল আরও বলেন, কিন্তু আবেদনকারীদের তথ্য যাচাই বাছাই না করেই গত সোমবার বিকেলে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রীতা রানী পাল, নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়াছিন আলী ও সচিব রেজাউল করিম যোগসাজস করে লটারির মাধ্যমে তালিকা তৈরি করেন। এ তালিকায় অনেক বিত্তবান নারীর নাম তালিকাভূক্ত হয়েছে। বঞ্চিত হয়েছেন প্রকৃত হতদরিদ্র নারীরা।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, রামনগর গ্রামের আলতাফুন বেগমের স্বামী আলিমুদ্দীন শাহ ৪০ বিঘা সম্পত্তির মালিক। এ ছাড়া গোয়ালমান্দা গ্রামের হালিমা বেগমের স্বামী মোজাম্মেল হকের রয়েছে ৫ বিঘা আবাদি জমি। সংবাদ সম্মেলনে যোগসাজসী লটারির মাধ্যমে তৈরি করা তালিকা বাতিলসহ পুনরায় যাচাই বাছাই করে প্রকৃতদের তালিকা প্রস্তুতের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য আম্বিয়া আক্তার, আশরাফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, আহসান হাবীব, জামাল হোসেন, রাজু আহমেদ, শফিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, মজিবর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ প্রসঙ্গে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, যোগসাজসী কিংবা মনগড়াভাবে নয়, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার উপস্থিতিতে উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে তালিকা করা হয়েছে। এতে সচ্ছল কারো নাম তালিকায় আসলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন