নওগাঁর মান্দায় মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগে অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন

নওগাঁর মান্দা উপজেলার ৪নং মান্দা সদর ইউনিয়নে “কোচড়া বাদলঘাটা দাখিল মাদ্রাসায়” চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়োগে মাদ্রাসার সুপার ও সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের ব্যাপক অনিয়মের প্রতিবাদে মানব বন্ধন করেছে মাদ্রাসার দাতা প্রতিষ্টাতার অভিভাবকদের সদস্যসহ ছাত্রী অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসীরা।

গতকাল সোমবার (৩০) জানুয়ারী বেলা ১১টায় কোচড়া বাদলঘাটা দাখিল মাদ্রাসার মাঠে এ মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করা হয়। প্রায় দুই শতাধিক জনসাধারনের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন ঐ মাদ্রাসার
দাতা প্রতিষ্টাতার অভিভাবক সদস্য মোছা. নুরজাহান বেওয়া, রুবেল হোসেন, রিয়াজ উদ্দিন, আমজাদ আলী, ছাত্র অভিভাবক একরাম হোসেন, নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা ঐ মাদ্রাসার সুপার সোহরাব হোসেন ও সভাপতি মো. আলমগীর তাদের মনোনিত প্রত্যেক প্রার্থীর কাছ থেকে ২৭ লাখ টাকার বিনিময়ে অযোগ্য লোক নিয়োগ দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন। দাতা সদস্যর ছেলে আলম সরদার জানান,গত ২৮ জানুয়ারী একজন নৈশ প্রহরী, একজন আয়া কোচড়া বাদলঘাটা দাখিল মাদ্রাসায় লোক দেখানো সাক্ষাৎকার গ্রহন করে প্রার্থী নির্বাচন করেন। নির্বাচিতদের নিয়োগ প্রদানের জন্য গভর্নিং বডির সদস্যদের অনুমোদন প্রয়োজন। অবৈধ নিয়োগ বৈধ করার লক্ষ্যে মাদ্রাসার সুপার ও সভাপতি নিয়োগ কমিটির সদস্যদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে ভুল বুঝিয়ে রেজুলেশন বহিতে স্বাক্ষর আনার জন্য হুমকি প্রদান করেন। আমাকে ও হুমকি দিয়ে স্বাক্ষর নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।

মানববন্ধনে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী(নৈশ প্রহরী) পদে মো. আলম সরদার জানান, মাদ্রাসার সুপার আমাকে এই পদে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা নেয় তারপরও আমাকে নিয়োগ না দিয়ে অন্য এক প্রার্থীর কাছ থেকে অধিক টাকা নিয়ে নিয়োগ দিয়েছে।স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি আমার এই টাকা দেওয়ার বিষয় অবগত আছেন।

মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে ঐ অবৈধ নিয়োগ স্থগিত করে নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়োগের দাবী জানান।

এ ব্যাপারে সুপার সোহরাব হোসেন জানান, আমি বৈধ ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। তবে নিয়োগ বোর্ডের যে সব সদস্য উপস্থিত ছিলনা তাদের রেজুলেশনে স্বাক্ষর দেয়ার জন্য আমি তাদের অনুরোধ করেছি।

মাদ্রাসার সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় যারা উর্ত্তীন হয়েছে তাদেরকেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।

এব্যাপারে মান্দা উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহ আলম জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।