নওগাঁর রাণীনগরে দুর্বৃত্তের আগুনে একরাতে পুড়ল ৬টি খড়ের পালা, গরু নিয়ে বিপাকে কৃষক

নওগাঁর রাণীনগরে একরাতে ৬টি খড়ের পালা আগুন দিয়ে পুড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) গভীর রাতে উপজেলার কালীগ্রাম ইউনিয়নের ভেবড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। এতে গরুর খাবার নিয়ে বিপাকে পরেছেন কৃষকরা। গ্রামবাসী জানান,গত তিন বছর ধরে প্রতি শীত মৌসুম আসলেই এমন আগুনের ঘটনা ঘটে আসলেও এখন পর্যন্ত এর কোন সমাধান হয়নি।

ফলে এই মৌসুমে আসলেই গ্রামবাসী আতংকিত হয়ে পরে।
ভেবড়া গ্রামের মীর নুর মোহাম্মদের ছেলে শামীম হোসেন জানান, হঠাৎ করেই রাত অনুমান ২টা নাগাদ গ্রামের লোকজন একসাথে গ্রামের কয়েকটি স্থানে আগুন দেখতে পান। এসময় পুরো গ্রামের লোকজনের মধ্যে হৈ চৈ পরে যায়। একসাথে বিভিন্ন স্থানে আগুন দেখে গ্রামবাসী আতংকিত হয়ে পরেন। পরে কোন মতে,আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে।

এই সময়ের মধ্যেই তার প্রায় পাঁচ বিঘা জমির খড়ের পালা,গ্রামের মোকছেদ আলীর তিন বিঘা,রফিকুল ইসলামের ছয় বিঘা,মুনছুর সরদারের ১৫বিঘা,সিভিল হোসেনের প্রায় পাঁচ বিঘা এবং শহিদুল ইসলামের প্রায় চার বিঘা জমির ধানের খড়ের পালা আগুনে ভস্মিভূত হয়ে যায়।

শামীম হোসেন জানান, শত্রুতা বসত: কেউ প্রতি বছর কেউ এই আগুন ধরে দেয়ার কাজ করছে। তিনি ধারনা করে বলেন,হয়তো পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়েছে। খড়ের পালা থেকে পেট্রোলের গন্ধ বের হচ্ছে। তিনি জানান, প্রত্যেক কৃষকেরই বাড়ীতে ৪/৫টি করে গরু আছে। আগুনে পালা পুড়ে দেয়ায় গরুর খাবার নিয়ে চরম বিপাকে পরেছি আমরা।

ওই গ্রামের বাসিন্দা ও কালীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের গ্রামপুলিশ রোকেয়া খাতুন জানান,গত তিন বছর ধরে প্রতি শীত মৌসুম আসলেই গ্রামে এমন আগুনের ঘটনা ঘটে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসব ঘটনার সুরাহা হয়নি। তাই দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুল ইসলাম বলেন, এঘটনায় এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।