নওগাঁর রাণীনগরে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে শিক্ষার্থী হাসপাতালে

নওগাঁর রাণীনগরে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে রাজ মন্ডল (১৩) নামে এক শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। রাজ উপজেলার সিম্বা ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী এবং উপজেলার ছয়বাড়ীয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।

শনিবার (১ জুন) দুপুরে এঘটনা ঘটার পর বিকেল তিনটা নাগাদ তাকে রাণীনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাস্সম।

শিক্ষার্থীর ফুফু চম্পা আক্তার জানান, শনিবার সকালে তার ভাতিজা রাজ মন্ডল বিদ্যালয়ে যায়। এর পর ক্লাস রুমের ব্রে বোতল থেকে পানি পড়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় শিক্ষক আব্দুল মান্নান ক্লাস নিতে এতে রাজ মন্ডলকে বেধরক বেত্রাঘাত করে। একই সময় অন্য শিক্ষক উদয় কুমার সরকার এসে তিনিও রাজকে বেধরক বেত্রাঘাত করে।

বেত্রাঘাতে অসুস্থ্য হয়ে পরলে বিদ্যালয়েই প্রাথমিক চিকি’সা দিয়ে রাজের বাড়ীতে খবর দেয়া হয়। পরে পরিবারের লোকজন গিয়ে রাজকে রাণীনগর হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।

রাজ মন্ডলের পিতা শহিদুল ইসলাম বলেন,আমার ছেলের শরীরে বেত্রাঘাতের ২২টি দাগ রয়েছে। পড়া লেখা বিষয়ে মারপিট বা শ্বাসন করলে আমার কিছু বলার ছিলনা। কিন্তু শিক্ষার্থীদের দ্বদ্ধের কারনে শিক্ষকরা এভাবে আমার ছেলেকে বেত্রাঘাত করতে পারেনা। এঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সুবিচারের দাবি জানাচ্ছি।

শিক্ষক উদয় কুমার সরকার বলেন, অন্য ক্লাস থেকে বের হবার সময় দেখি ৮ম শ্রেনীর শ্রেনী কক্ষে চি’কার চেচামেচি হচ্ছে। এসময় ওই শ্রেনী কক্ষে এগিয়ে গেলে শিক্ষক মান্নানের সাথে রাজের বেয়াদবি দেখে তাকে বেত দিয়ে একটা বাড়ী দিয়েছি। তবে এর আগে শিক্ষক মান্নান নাকি কয়েকটা বাড়ী দিয়েছে এটা পরে শুনেছি।

অবশ্য পরে বিদ্যালয়েই প্রাথমিক চিকি’সা দেয়া হয়েছে।
এব্যাপারে সহকারী শিক্ষক আব্দুল মান্নানের মোবাইলে কয়েকবার ফোন করে এবং ক্ষুদে বার্তা দিয়েও কোন সারা মেলেনি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাইদ বলেন,আমি আজকে আমি বিদ্যালয়ে যাইনি। তবে দ্যিালয়ে এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে এটা শুনেছি। আমরা বিষয়টি নিরসনের চেষ্টা করছি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন,এঘটনা এখনো আমাকে কেউ জানায়নি। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাস্সম বলেন, শিক্ষার্থীকে মারপিট এবং হাসপাতালে ভর্তির বিষয়টি শুনেছি। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।