অভ্যন্তরিন দ্বন্দ্বে পাঠদান ব্যহত
নওগাঁর রাণীনগরে সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ এলাকাবাসির
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কাটরাশইন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তুলেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ও এলাকাবাসি। উগ্রবাদী আচরণ ও বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিংসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই শিক্ষকের কারনে অভ্যন্তরিন দ্বন্দ্বে পড়া-লেখার সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যহত এবং বিদ্যালয়ের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগে জানাযায়,কাটরাশইন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম যোগদান করার পর থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের নির্দেশনা না মানায় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের মাঝে বিরোধ চলে আসছে। এতে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যহতসহ বিদ্যালয়ের মান ক্ষন্ন হচ্ছে।
অভিযোগকারীরা বলছেন,প্রধান শিক্ষকের সাথে অশোভন আচরণ এবং শিক্ষকের নির্দেশনা অনুসরণ না করে দীর্ঘ সময় বিদ্যালয়ের বাহিরে থাকেন।এছাড়া ছুটির আবেদন না করেই ছুটির কথা বলে অনুপস্থিত থাকেন। সহকারী শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম অনেক সময় সরকারের বিরুদ্ধে বদনাম করাসহ উগ্রবাদী আচরণ এবং শিক্ষকদের মাঝে গ্রুপিং সৃষ্টি করেছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের সাথেও অশোভন আচরণ করেন।
এসব বিষয়ে প্রধান শিক্ষক তাকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন ও আন্তরিকতার সাথে পাঠদান করতে এবং শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপ সৃষ্টি না করতে বার বার অনুরোধ করলেও তিনি কর্ণপাত করেননা ফলে সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের মধ্যে দ্বন্দ্বে চলে আসছে। বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরিন এসব দ্বন্দ্বের কারনে এক দিকে যেমন পড়া-লেখা ব্যহত হচ্ছে,অন্য দিকে বিদ্যালয়ের ভাব মূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। তারা বিদ্যালয়ে পড়া লেখার সুষ্ঠু পরিবেশ ফেরাতে এবং তদন্ত পূর্বক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য এবং গ্রামের প্রায় অর্ধশত লোকজন স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর দায়ের করেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ইনছার আলী বলেন,প্রধান শিক্ষক প্রায় ১০ বছর ধরে বিদ্যালয় সুনামের সহিত পরিচালনা করে আসছেন।তার সুদক্ষতার কারনে প্রতি বছর বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পাচ্ছেন। কিন্তু সহকারী শিক্ষক রাশেদুল যোগদান করার পর থেকেই তিনি ইচ্ছে মতো বিদ্যালয়ে আসা যাওয়াসহ নানান কারনে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বিবাদ লেগেই আছে।তাই বিবাদ মেটাতে আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম হেলাল বলেন,নানান কারনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রিবোধ চলে আসছে।আমরা অনেক চেষ্টা করেও সমাধান করতে পারিনি। ফলে বিরোধন নিরসন করে পড়া লেখার সুষ্ঠু পরিবেশ ফেরাতে কমিটির সদন্যবৃন্দ ও এলাকাবাসি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রধান শিক্ষক শাহানাজ বেগম বলেন,সহকারী শিক্ষক রাশেদুলের সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন বিরোধ নেই।কিন্তু বিদ্যালয় পরিচালনায় অফিসিয়াল নির্দেশনাকে সব সময় উপেক্ষা করে চলেছেন। তিনি ছুটি না নিয়েও ছুটি ভোগ করেন। এসব বলতে গেলেই আমার সাথে দ্ব›েদ্ব জড়িয়ে পরেন।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম বলেন,আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তা আপনার কাছ থেকেই প্রথম জানলাম। অভিযোগে কি লেখা হয়েছে বা কেন অভিযোগ দিয়েছে তা পুরোপুরি না দেখে এবিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছিনা।
রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন,এঘটনায় বুধবার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন