নওগাঁয় বিকেলে কৃষককে ছেড়ে দিয়ে, সন্ধ্যায় এক যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

কীটনাশক দিতে গেলে মামুন ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে সীমান্তে টহলরত বিএসএফ-এর সদস্যরা আটক করে নিয়ে যায়। পরে বিকালের দিকে বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে মামুনকে ছেড়ে দেয় বিএসএফ।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) বেলা ১১টায় পোরশা উপজেলার শ্রীকৃষ্ণপুর কুলাডাংগা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মামুন ইসলাম পোরশা সীমান্তের ঢাকাবীল এলাকায় ২৩১/৭এস পিলারে তার নিজ জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
এমতাবস্তায় ভারতীয় বিএসএফ-১৫৯ কেদারীপাড়া ক্যাম্পের বিএসএফের টহলরত সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় দেখতে পেয়ে মামুনকে তাকে আটক করে নিয়ে যান।
বিষয়টি জানতে পেরে বিজিবি মামুনকে ফেরত চেয়ে চিঠি পাঠালে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানান তারা। পতাকা বৈঠকের আহবানের পর সীমান্তের ২৩১/৭এস পিলারের এলাকায় ওইদিন দুপুর ২টার দিকে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি-১৬ নওগাঁর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটকের পর পরই মামুনকে ফেরত চেয়ে আমরা পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে চিঠি দিই। এরপর বিএসএফ বৈঠকের সম্মতি দিলে দুপুর ২টার দিকে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং মামুনকে ছেড়ে দেন তারা।

অপরদিকে, মঙ্গলবার (১২ তারিখ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নওগাঁর পোরশা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করায় বাংলাদেশি যুবক আরিফ হোসেনকে আটক করেছে বিএসএফ। উপজেলার নিতপুর সীমান্তের ভারতের হরিশ্চন্দ্রপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করেন। আরিফ হোসেন একই উপজেলার গাঙ্গুরিয়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে আরিফ বাংলাদেশি পোরশা উপজেলার নীতপুর সীমান্ত এলাকায় ঘুরতে যান। সীমান্ত এলাকায় ঘুরতে ঘুরতে একপর্যায় নীতপুর সীমান্ত ২৩০ নং পিলার পার হয়ে ভারতে অবৈধ্যভাবে প্রবেশ করেন। এরপর মালদা জেলার বিএসএফ-১৫৯ হরিশ্চন্দ্রপুর ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করেন। পরে আরিফকে হরিশ্চন্দ্রপুর ক্যাম্পে নিয়ে যান।

বিজিবি-১৬ ব্যাটলিয়ন আওতায় নিতপুর (পোরশা) ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার নূরুল ইসলাম জানান, নিতপুর সীমান্ত এলাকা থেকে আরিফ হোসেনের বাড়ির দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। কী কারণে ভারতে অভ্যন্তরে তিনি গিয়েছিলেন তার সঠিক কারণ জানা সম্ভব হয়নি। তবে এখন পর্যন্ত তাদের পরিবার কেউ যোগাযোগ করেননি।